ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
blogging details in bangla for beginners
পড়তে আমরা অনেকেই ভালবাসি সেটা কোন নিউজ হোক কিংবা ইন্টারটেনমেন্ট ও প্রযুক্তি বিষয়ক অথবা ইসলামিক কিছু আবার অনেকে রয়েছেন এডুকেশন কিছু পড়তে অনেকই ভিশন ভালোবাসেন আপনি কি জানেন সেই লেখা থেকে মানুষ অনেক টাকা উপার্জন করে নিচ্ছে । এখন এই ডিজিটাল যুগে প্রায় সবকিছুই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে ।
একটা সময় ছিল মানুষ কিছু জানার জন্য পত্রিকা কিনে নিত কারণ এটিই ছিল একমাত্র নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পাওয়ার মাধ্যম যার যেটা জানার আগ্রহ বেশি সেটি পাওয়ার জন্য, সবগুলো বিষয়ই পত্রিকাতে পাওয়া যেত এজন্য পত্রিকা অনেকেই কিনে পড়তো ।
সেই পত্র-পত্রিকা এখন অফলাইন থেকে অনলাইন হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ সবকিছু এখন পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেটা হাতের নাগালে এনে দিচ্ছে স্মার্ট ফোন কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা বিভিন্ন ডিভাইস এই ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে খুব সহজে ।
আগে মানুষ ফেসবুকে ব্লগিং কত শখের বশে কিছু মনের অনুভূতি লেখালেখি করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করত কিন্তু তখন ওখান থেকে এক টাকাও ইনকাম হতো না তবে এখন সময় পাল্টেছে এখন চাইলেই লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করা যাবে ।
আপনি যদি আগে এই বিষয়টি জেনে না থাকেন হয়তো বা কিছুটা হলোও অবাক হয়েছেন যে ব্লকিং করে আবার টাকা উপার্জন করা যায় জি বন্ধুরা কথাটি কিন্তু সত্য এখন থেকে আপনারা লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন সেটা হতে পারে যেকোনো বিষয় ।
উদাহরণস্বরূপ কিছু ব্লগিং এর বিষয় তুলে ধরা হলো যেমন টেকনোলজি, ইন্টারটেনমেন্ট, খেলাধুলা, মোবাইল রিভিউ, কম্পিউটার রিভিউ, এডুকেশন রিলেটিভ লেখালেখি, গেমিং বিষয়ে লেখালেখি, লাইফ স্টাইল নিয়ে লেখতে পারেন, অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিষয়ে লেখা যেতে পারে এই বিষয়টি এখন বেশ পপুলার, আপনি যদি ইসলামিক বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে লেখালেখি করতে পারেন, এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ে লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন ।
আপনি যদি পূর্বে এ বিষয়টি জেনে না থাকেন হয়তো বা অবাক হয়েছেন আর এটা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় এখন লেখালেখি করেও অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যাচ্ছে সেটা আবার এক টাকা দুই টাকা৯ হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ টাকা এবং এই টাকাগুলো ইনকাম করা যাবে আল্লায় দিলে লাইফটাইম ।
আজকে আমরা চলতি আর্টিকেলটির থেকে আল্লায় দিলে শিখব কিভাবে ব্লগিং শিখতে হয় কিভাবে ব্লগিং করতে হয় কিভাবে ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করা যায় ব্লগিং এর গাইডলাইন এ কোন কোন বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে? অথবা ব্লগিং করে আমরা কিভাবে টাকা উত্তোলন করবো অর্থাৎ ব্লগিং সম্পর্কে এ টু জেড আজকের পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেলটির থেকে আপনারা জানতে পারবেন সকলে ইনশাআল্লাহ ।
ব্লগিং কি?
ব্লগিং এর বিষয়ে আপনাদের উপরের দিকে অনেকটা ধারণা দেওয়া হয়েছে তারপরও আপনাদের আরও জানা প্রয়োজন কারণ ব্লগিং করতে হলে আপনাদের একটি ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হবে সেটা হতে পারে গুগোল ব্লগারে্র মাধ্যমে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে তাতে কোন সমস্যা নেই মূলত কথা হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে সেটি মানুষদের কাছে তুলে ধরতে হবে ।
মোট কথা হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন বা আপনার দক্ষতা রয়েছে অথবা দক্ষতা অর্জন করে ওই বিষয়ে আপনি লেখালেখি করবেন তবে এটা মাথায় রাখতে হবে সেই বিষয়টি যেন মানুষের সামনে কখনোই না আসে যে বিষয়টি মানুষের উপকারের থেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে অর্থাৎ মানুষের কল্যাণে আসে এমন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে হবে ।
উদাহরণস্বরূপ আপনার-আমার যখন কোন কিছু দরকার হয়ে থাকে তখন আমরা কি করি গুগলে গিয়ে সার্চ করি ধরুন আমরা লিখে সার্চ করলাম গুগোল ব্লগার কি এটা লিখে যখন আমরা সার্চ করব অনেকগুলো আর্টিকেল চলে আসবে ওই আর্টিকেলগুলো পড়ে আমরা ধারণা নিব আর যে লোক এই আর্টিকেলগুলো লিখে রেখেছে সে একটি ইনকাম পাবেন আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি ।
ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো?
ওয়েবসাইট বানাতে গেলে কিছু টাকার প্রয়োজন হয় যেমন ডোমেইন হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে কিছু টাকা খরচ করতে হয় তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন আপনারা যদি শুরুতে গুগোল blogger.com এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনাদের এক টাকাও প্রয়োজন হবে না ।
আর যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে মোটামুটি মানের একটি কস্টিং ব্যয় করতে হবে যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে গেলে হোস্টিং আপনাদের মাজবি এবং ডোমেইন মাজদি কিনতেই হবে ।
অনেকে আবার প্রশ্ন করতে পারেন ডোমেইন হোস্টিং কেনার মত টাকা তো ভাই আমার কাছে নেই তাহলে আমি কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করব তাদের জন্য বলে রাখা ভাল শুরুতে আপনি একটু কম দামি হোস্টিং নিয়ে এবং একটি ডোমেইন সিলেক্ট করে আপনি কাজটি সম্পন্ন করে নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে বড়জোর আপনার 1000 থেকে পনেরশো টাকার ভিতরে আপনি এটি সম্পূর্ণ করে নিতে পারবেন তবে আরেকটি জিনিস ভুলে গেলে চলবেনা এর সাথে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট লাগবে ।
এখন যদি আপনি ভাবেন যে গুগোল ব্লগার দিয়ে আপনি ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেটা পারবেন তবে মাস্টার ডোমেই অন্ততপক্ষে কিনে নেওয়াই ভালো যদিও গুগোল ব্লগারে মাধ্যমে ওয়েবসাইট খুললে হোস্টিং ফ্রিতে গুগল দিয়ে থাকে । আর সাথে যদি আপনার একটি এসইও ফ্রেন্ডলি গুগোল ব্লগারের জন্য কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য থিম থাকে বা টেমপ্লেট থাকে তাহলে কমপ্লিট হয়ে যাবে আপনার ওয়েবসাইটের কাজ ।
ডোমেইন-হোষ্টিং টেমপ্লেট কাকে বলে?
নতুনরা এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক তো আপনাদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলো ডমিন বলতে বোঝানো হয় অ্যাড্রেস অর্থাৎ যেমন ধরেন google.com facebook.com freelancertvpro.com ইত্যাদি তবে ডোমেনযে শুধু .com হয় এরকম না ওই জায়গাতে ডট নেট, ডট ওআরজি, ডট এক্সওয়াইজেড ইত্যাদি হতে পারে ।
হোস্টিং বলতে বোঝানো হয়ে থাকে আপনার ওয়েবসাইটটি যেখানে স্থায়ীভাবে থাকবে তাকে হোস্টিং বলা হয়ে থাকে যদি গুগোল ব্লগারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট খোলা হয় তাহলে হোস্টিং গুগোল এর পক্ষ থেকে ফ্রিতে লাইফ টাইম এর জন্য দেওয়া হয়ে থাকে আর যদি ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য ওয়েবসাইট খুলতে হয় তাহলে অবশ্যই যে কোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনে নিতে হয় অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট রাখার একটি জায়গা প্রয়োজন সেটিকেই হোস্টিং বলা হয়ে থাকে ।
টেমপ্লেট এবং থিম দুইটা জিনিসই আসলে একই জিনিস বোঝানো হয়ে থাকে টেমপ্লেট অথবা থিমের কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের ডিজাইন আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ডিজাইনের হয়ে থাকে এটাই মূলত টেমপ্লেট বা থিম এর কাজ আপনার টেমপ্লেট কিংবা থিম ডিজাইন যেরকম হবে বা ডিজাইনের হবে আপনার ওয়েবসাইটটি ঠিক ঐভাবে করে গড়ে উঠবে আশা করি বিষয়টি আপনারা তিনটা জিনিসের বুঝতে পেরেছেন ।
ব্লগিং কেন করব?
আপনি যদি ভেবে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করবেন তাহলে ব্লগিং প্রজেক্ট আপনাকে দারুন ভাবে সহযোগিতা করতে পারে । আপনি যদি যেকোনো চাকরি করে থাকেন কিংবা যদি লেখাপড়া করে থাকেন অথবা যদি বেকার সময় কাটান তাহলে আপনি ব্লগিং করতে পারেন খুব সহজে যারা চাকরিজীবী কিংবা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি কিংবা চাকরির পাশাপাশি ব্লগিং করতে পারেন আর যারা বেকার সময় কাটাচ্ছেন তাদের তো কথাই নেই তারা তো সব সময় চাইলে ব্লগিং লেখতে পারেন । আপনি কোন সময় বিজনেস করতেছেন সেই সময়টি ছাড়া অবসর সময়টুকু নষ্ট না করে ব্লগিং করতে পারেন কোন বিষয় নিয়ে যখন আপনি লেখালেখি করবেন তখন সেখান থেকে অর্থ উপার্জন হবে ।
আপনি যদি প্রতিদিন সব কাজকর্মের পাশাপাশি যদি ব্লগিং করেন তাহলে দেখবেন প্রতিদিন যদি আপনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা কিংবা চার ঘণ্টা করে সময় দেন তাহলে মাস শেষে আপনার অনেকগুলো ব্লগার পোস্ট করা হয়ে যাবে এবং ইনকাম অনেক ভালো আসবে আশা করি সুযোগটি চাইলে আপনারা নিতে মিস করবেন না ।
ব্লগিং করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যেটি আল্লায় দিলে আমার কাছে মনে হয়েছে যদি আপনি অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন কিংবা ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তাহলে সেটি সিকিউরিটি খুব কম রয়েছে আপনি যদি ভুলভাল কোন কাজ করেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যেকোনো সময় ডিলিট হয়ে যেতে পারে কিংবা আপনার অনলাইনে চাকরিটিও চলে যেতে পারে কিন্তু ব্লগিং একবার শুরু করলে আপনি সারাজীবন এটি করতে পারবেন এ জন প্রফেশনাল যারা রয়েছে তারা প্রায় প্রত্যেকেই ব্লগিং করে থাকেন ।
ব্লগিং করতে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হবে?
ব্লগিং একটি মুক্ত পেশা এটা আপনি স্বাধীনভাবে ঘরে বসে করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই তবে ব্লগিং করতে হলে কিছু যন্ত্রপাতি আপনার থাকতে হবে তবে সেই যন্ত্রপাতিগুলো এখন আমাদের হাতে হরহামেশাই কিন্তু থাকে যেটি আমরা বুঝিনা ।
এখন কিন্তু এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যার হাতে একটি স্মার্টফোন নেই, কি কথাটা ঠিক বললাম তো? আপনি চাইলে সেই হাতের স্মার্টফোনটি দিয়েই ব্লগিং করতে পারেন তবে স্মার্টফোনটির রেম ও রম যেন একটু ভালো মানের হয় অন্যথায় আপনি লেখালেখি করে তেমন একটা ভাল পারফরম্যান্স নাও পেতে পারেন । এছাড়াও আপনি চাইলে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সাহায্য নিতে পারেন ব্লগিং করার জন্য ।
ব্লগিং-এর এত লেখা কিভাবে লিখব?
আপনার মত আমারও এক সময় এই ভয়ে টি কাজ করত যখন আমি ব্লগিং শুরু করি তখন আমি নিজেও ভাবতাম যে আসলে একটি ব্লগিং করতে গেলে এক হাজার থেকে দেড় হাজার 2 হাজার ওয়াটের লিখতে হয় এই লেখাগুলো যদি আমি কিবোর্ড দিয়ে লিখি তাহলে তো একটি পোস্ট লিখতে আমার সারা দিন চলে যাবে
তাহলে আমি কিভাবে আর অন্য কাজ করব ।
কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা আমরা যেহেতু ব্লগারটি বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে করবো যেহেতু আমাদের আর চিন্তার বিষয় থাকার কথা নয় কারণ আমরা চাইলে গুগোল ভয়েস দিয়ে যে বিষয় আমরা পারদর্শী সেই বিষয়ে আমরা ব্লগে পোষ্ট তৈরি করে ফেলতে পারি আশা করি এটি জেনে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন । অর্থাৎ গুগল ভয়েসের মাধ্যমে আমরা পোস্টটি বলে লিখে নিতে পারি এতে করে আমাদের সময় যেমন কম লাগবে আমাদের লেখতে অনেক ভালো লাগবে এবং অনেক সহজ মনে হবে ।
ব্লগিং পোস্ট লেখার আইডিয়া কোথায় পাবো?
দেখুন এই জিনিসটা আমাদের মাথায় রাখা উচিত যে কোন জিনিসই যদি মানসম্মত না হয় তাহলে ওই জিনিসের চাহিদা থাকে না, এবং ওই জিনিশের গ্রাহক তেমন একটা পাওয়া যায় না যেহেতু গ্রাহকও কম থাকে ওই জিনিশের চাহিদাও কম ইনকামো হবে কম সেটা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।
যে জিনিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই জিনিস থেকে ইনকামও কিন্তু সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে কারণ স্ট্যাটাস অনুযায়ী কিন্তু পৃথিবী চলে আসতেছে যুগ যুগ ধরে তো বুঝতেই পারতেছেন সবকিছুরই একটি লেভেল রয়েছে আপনি যেই লেভেল অনুযায়ী লেখা লিখবেন বা পোস্ট করবেন সেই লেভেলের ইনকাম আপনি পাবেন ।
তবে আপনাদের কিছু ইউনিক আইডিয়া দেওয়া জরুরি বলে মনে হচ্ছে সেটা হল যেই বিষয় আপনার পারদর্শিতা রয়েছে সেই বিষয়ে আপনি গুগল এ সার্চ করুন দেখুন কারা কারা এ বিষয়ে লেখা লিখেছে সে বিষয়ে আপনি সেম ভাবে না লেখে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মডিফাই করে নতুন কিছু যোগ করে ওদের আর্টিকেল থেকে আইডিয়া নিয়ে আপনি নতুন একটি আর্টিকেল পোস্ট জেনারেট করে নিতে পারেন
। আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই আমাদের মাথায় এটি নিয়ে রাখতে হবে আমরা যেন অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে ।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?
এসইও শব্দের মূল মিনিং হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ আপনি যখন কোনো আরটিকেল লিখবেন সেটি যেন গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে বুজে সেটি যেন মানুষের সামনে সো করাতে পারে এই জন্যই মূলত এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে বলা হয়ে থাকে ।
তবে আপনারা যারা নতুন রয়েছেন তারা হয়তো বা এই বিষয়টা প্রথম দিকে তেমন একটা বসবেন না তবে আপনি মডিফাই করে নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো লিখতে শুরু করে দিতে পারেন কারণ আপনি যত বেশি লেখবেন তত বেশি আপনার আগামী দিনগুলোতে লেখার মান ভালো হতে থাকবে এই জন্য লেখা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করে দেওয়াটাই ভালো ভয় পেয়ে থেমে গেলে চলবেনা ।
প্রথমদিকে হয়তোবা আর্টিকেল লিখতে আপনি বেশি ওয়ার্ডে পারবেন না কিন্তু লেখতে লেখতে একটা সময় দেখবেন যে আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে তখন আপনি চাইলে 1000, 2000, 3000, 4000, 5000, ওয়ার্ডের আর্টিকেল আপনি লিখে ফেলতে পারবেন কয়েক ঘন্টার ভিতরে ।
ব্লগিং থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
ব্লগিং করে বেশ কয়েক ভাবে টাকা উপার্জন করা রাস্তা রয়েছে তবে ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করার সবচাইতে জনপ্রিয় যে মাধ্যমটি সেটি হল গুগল এডসেন্স আপনি হয়তো বা কোথাও না কোথাও থেকে গুগোল অ্যাডসেন্সে র কথাটি শুনে থাকতে পারেন বন্ধুরা এই গুগল এডসেন্স থেকেই ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম কিংবা উপায় ।
আপনি চাইলে থার্ড-পার্টির কারো প্রডাক্ট কিংবা কোম্পানির প্রমোশন করিও আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর ভালো আসতে হবে অন্যথায় থার্ড পার্টি কখনো আপনাকে স্পন্সর বা বিজ্ঞাপন দেবে না ।
আপনার ওয়েবসাইটটি থেকে ইনকাম করার একটি দারুন মাধ্যম হচ্ছে যখন আপনি গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে এপ্রোভাল পেয়ে যাবেন তখন চাইলে গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি আপনি অন্য বিশ্বস্ত পার্টির অ্যাড নেটওয়ার্কের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে বসিও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন ।
আবার আপনার যদি নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থাকে কিংবা প্রমোশনের প্রয়োজন হয় কোন বিষয়বস্তুর তাহলে আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেটি প্রমোশন করতে পারেন এতেও কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে ।
কিভাবে গুগল এডসেন্স পাব?
গুগল এডসেন্স পাওয়াটা খুব সহজ যদি আপনি গুগোল এর গাইডলাইন মেনে কাজ করে থাকেন অন্যথায় গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার মতো কঠিন আপনার কাছে আর কোন কিছু নাও মনে হতে পারে তো আশাকরি এই কথাটার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কতটুকু গাইডলাইন মেনে কাজ করা উচিত ।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি 20 থেকে 25 টি ইউনিক আর্টিকেল থাকে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন আর এটি আপনাদের মনে রাখা প্রয়োজন একটি এনআইডি কার্ড এর বিপরীতে একটি অ্যাডসেন্সের আবেদন করা যাবে যদি আপনি একের অধিক গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার গুগল এডসেন্স সবগুলোই ডিজেবল হয়ে যেতে পারে । কিন্তু আপনি যদি চান একাধিক ওয়েবসাইট আপনি একটি ডিভাইস দিয়ে খুলে কাজ করতে তাহলে সেটা সম্ভব এতে কোন সমস্যা নেই শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স আলাদা আলাদা নামে হতে হবে ।
আপনার ওয়েবসাইটটি যেন তাড়াতাড়ি গ্র করে এজন্য সব সময় মনে রাখবেন ট্রেন্দিং টপিক এর উপরে আপনি আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুব তাড়াতাড়ি মার্কেটে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অন্যথায় কিন্তু আপনার আর্টিকেলগুলো পড়ার মতো তেমন একটা লোক নাও পেতে পারেন ।
ওয়েবসাইটে কিভাবে এড বসাবো?
দেখুন আপনি যত বেশি দিতে পারবেন তত বেশি আল্লায় দিলে পাবেন এটা হল গিয়া দুনিয়ার নিয়ম নীতি আপনার ওয়েবসাইটে যত ভাল পোস্ট করবেন সেগুলো পড়ে মানুষ যত বেশি উপকৃত হবে তত বেশি আপনার ওয়েবসাইটে মানুষগণ ভিজিট করবে আর যখন আপনার পোস্ট গুলো ভিজিট হবে তখন গুগোল অ্যাড সো করাবে এই অ্যাডগুলো থেকেই মূলত ইনকাম হবে তবে মনে রাখবেন গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার পরে দুই থেকে তিনটি কিংবা তিন থেকে চারটির বেশি ওয়েবসাইটে অ্যাড বসাবেন না যদি অতিরিক্ত অ্যাড বসান তাহলে কিন্তু আপনার ইনকাম বেশি হওয়ার জায়গা কম হবে ।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাবেন তখন ওয়েবসাইটের লেআউট অপশনে গিয়ে জাভা স্ক্রিপ্ট এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে এড কোড জেনারেট করে সেগুলো বসানো যায় খুব সহজে তবে ওয়েবসাইটের নানান জায়গায় নানান রকমের সাইজের অ্যাড বসাতে হয় এ বিষয়ে যদি আপনি ধারণা না জেনে থাকেন অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করে নিবেন তারপর অ্যাড গুলো বসিয়ে দিবেন ।
ইউনিক আর্টিকেল কি?
আপনি অন্যের আর্টিকেল থেকে আইডিয়া নিতে পারবেন এতে কেউ আপনাকে কিছু বলবেনা গুগল মামা কখনো আপনাকে কিছু বলবেনা তবে যদি আপনি অন্যের আর্টিকেল দেখে দেখে হুবাহুব ভাবে লিখেন তাহলে এটা কপিরাইট চলে আসবে আর যদি আপনি অন্যের আর্টিকেল কপি করে এনে আপনার ব্লগে এনে পোস্ট করেন তাহলে আপনি এটি জেনে রাখুন ব্লগিং করে আপনার জীবনে এক টাকা উপার্জন করতে পারবেন না কারণ গুগোল কখনো একসেপ্ট করবে না এই ধরনের কনটেন্ট এর জন্য ।
অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করে ধৈর্য্যসহকারে কাজ করে যেতে হবে ইউনিক লেখা আপনার ব্লগে পোস্ট করতে হবে তাহলেই কেবল ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব, অন্যথায় যদি আপনার মাথায় চিকন কোন বুদ্ধি থাকে তাহলে এখনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন ।
কিভাবে আর্টিকেল পোস্ট করব?
আপনি চাইলে কোন নোটপ্যাডে লিখতে পারেন যে বিষয় আপনি পারদর্শী সে বিষয়ে লেখালেখি করে সেটি পরে গুগোল কিংবা ওয়াডপ্রেস ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই অথবা আপনি চাইলে সরাসরি ওয়েবসাইটে এসব পোস্ট লিখতে পারেন । তবে আর্টিকেল লেখার সময় এ বিষয়টি মনে রাখবেন যতদিন না আপনি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পারন্টে ততদিন আপনি অবশ্যই আর্টিকেলগুলো 1000 ওয়াট এর উপরে লেখার চেষ্টা করবেন এতে গুগলের কাছে আপনার আর্টিকেলগুলোর ভ্যালু বাড়বে এডসেন্স আগে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
যখন আপনি একটি আর্টিকেল তৈরি করবেন সেটি আপনি নিজে আবার পরে দেখবেন যে আর্টিকেলটি আপনি লিখেছেন সেটি পড়ে আপনি নিজে কতটুকু তথ্য পাচ্ছেন সেখান থেকে অথবা সেই আর্টিকেল পড়ে আপনি কতটুকু জানতে পারলেন বা আপনার ভিউয়ার কতটুকু সঠিক তথ্য পাচ্ছে সেই বিষয়টি যাচাই না করে কখনো আর্টিকেলটি পাবলিক করবেন না ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আর্টিকেল যখন আপনারা লেখবেন বা ব্লগিং যখন করা শুরু করবেন তখন নিয়মিত পোস্ট করবেন যদি আপনে মাসে দু'একবার, দুই মাস পর 2-4 বার এরকম করে যদি ব্লগিং শুরু করেন তাহলে কিন্তু আপনার ইনকাম টা ওরকম ভাবে আসবে না অবশ্যই অ্যাক্টিভ হিসেবে আপনাকে ব্লগিং করে যেতে হবে যদি আপনি ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করতে চান ।
ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং শুরু করার সময় যদি আপনারা ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার কথাটি বারবার ভাবেন কিংবা ইনকামের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখান কাজ করা থেকে তাহলে কিন্তু আপনি তেমন একটা সফলতা নাও পেতে পারেন । নিয়মিতভাবে সঠিক নিয়ম মেনে আপনাকে ব্লগিং করে যেতে হবে যখন আপনার লেখাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে যখন ভিউয়ার আপনার ওয়েব সাইটে আসতে শুরু করবে তখন অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করা শুরু হয়ে যাবে ।
ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়টা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় এজন্য অবশ্যই নিজের দক্ষতার উপর লক্ষ্য রাখতে হবে ।
খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে আপনার ব্লগিং পোস্টগুলো যত ভালো হবে কিংবা যত মানুষ দেখবে ততো বেশি আপনার ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন হয়ে থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই তবে একটি সাধারন আইডিয়া আপনাদেরকে দেওয়া যেতে পারে আর সেটি হল ।
যদি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ইউনিক এক হাজার থেকে দেড় হাজার ভিউয়ার আসে তাহলে ধরে নিন 20 থেকে 25 ডলার প্রতিদিন ইনকাম হবে আর যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার কিংবা তিন হাজার ভিজিটর আসে তাহলে আপনার প্রতিদিন 30 থেকে 40 কিংবা 50 ডলার পর্যন্ত কিংবা তারও বেশি ইনকাম হয়ে থাকবে ।
আরেকটি জিনিস আপনাদের জানিয়ে রাখাটা খুবই জরুরী বলে মনে হচ্ছে সেটা হল যদি আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলো ইউরোপ কান্ট্রি থেকে কিংবা উন্নতশীল দেশ থেকে ক্লিক করে বা লোকজন যদি দেখে তাহলে ইনকাম টা অনেক বেশি হবে আর যদি বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান এই ধরনের দেশগুলো থেকে আপনার পোস্টটি ভিজিট করা হয় তাহলে তেমন একটা ইনকাম হবে না ।
ব্লগিং থেকে টাকা কিভাবে উঠাবো?
ব্লগিং করে টাকা উঠানোর জন্য কোন রকম কষ্ট করতে হবে না যখন আপনার ওয়েবসাইটটি ঠিকঠাকমতো রেডি হয়ে যাবে ইনকাম করার জন্য তখন গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভ পেয়ে যাবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য তখন গুগল এডসেন্স এর সাথে ব্যাংক একাউন্ট এড করে দিতে হবে যখনই আপনি ব্যাংক একাউন্ট এড করে দিবেন তখন গুগল অটোমেটিক যখনই আপনার গুগল অ্যাডসেন্সে 100 ডলার কিংবা তারও বেশি হয়ে যাবে তখন মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ 21,22 তারিখের ভিতরে আপনার ব্যাংক একাউন্টে তারা অটোমেটিকলি পেমেন্ট পাঠিয়ে দিবে তবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কোন লোকাল কারেন্সির মাধ্যমে যেমন বিকাশ নগদ পেটিএম ইত্যাদি এসব মাধ্যমে টাকা উঠানো যাবে না । আপনি চাইলে ব্যাংক টেনাসফার এর মাধ্যম ছাড়াও মাস্টার কার্ড কিংবা ভিসা কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট উঠাতে পারবেন ।
বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সার টিভি প্র ওয়েবসাইটটি ব্লগিংংবিষয়ক ফ্রী কোর্স চালু করেছে অর্থাৎ ব্লগিং কিভাবে শিখবেন?কিভাবে ব্লগিং কাজ করবেন? কিভাবে ব্লগিং করে টাকা পকেট এ নিবেন? মোটকথা যত ধরনের কাজ গুলো রয়েছে ব্লগিং সম্পর্কিত সবগুলোই আপনাদের কে ফ্রিতে শিখানো হবে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ এই জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন । এছাড়াও ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত আরো জানতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ভিজিট করুন এখানে ক্লিক করে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন