work from home t-shirt design
টি-শার্ট ডিজাইন কি?
অনলাইন থেকে কাজ করে ইনকাম করাটা এখন ততটা কঠিন কিছু নয় । তবে কার জন্য কঠিন কিছু নয় সেটা আমাদেরকে জানতে হবে । যাদের এই কাজগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের কাছে একাজগুলো অনেকটাই সহজ বলে মনে হবে । তবে একপর্যায়ে আপনি যখন কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন তখন আপনার কাছে অনেকটাই সহজ লাগবে । অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে । বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয়টিকে বেছে নিয়ে কাজ করতে পারবেন । (best work from home t-shirts)
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য টি-শার্ট ডিজাইনটিকে বেছে নেন তাহলে আপনি চাইলে মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজাইনের কাজ গুলোর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি ডিজাইন ব্যবস্থা হচ্ছে টি শার্ট ডিজাইন । অনেকেই রয়েছে যারা ইতিমধ্যে এই কাজটি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা । (t-shirt design ideas)
এখন আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমিও কি অনলাইন থেকে টি শার্টের ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবো ? হ্যাঁ অবশ্যই যদি এই কাজটি করার জন্য আপনার ভিতর ধারণা এবং অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে অন্যান্য ফ্রীলান্সারদের মতো আপনিও টি-শার্টের ডিজাইন করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন । ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে টি-শার্ট ডিজাইন স্কিল অর্জন করতে হবে অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ গুলো সম্পর্কে আলাদাভাবে ধারণা থাকতে হবে । (t-shirt design ideas for business)
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ধারণা থাকতে হবে । গ্রাফিক্স ডিজাইন যারা ভাল পারে টি-শার্ট ডিজাইন করাটাও তাদের ভালো পাড়ার সম্ভাবনা বেশি কেননা এখানে রয়েছে ডিজাইনের কাজ । টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ গুলো করার জন্য আপনার ভিতর অবশ্যই নতুন নতুন ডিজাইনের ধারণা থাকতে হবে । একাজগুলো আপনাকে অবশ্যই অনেক নিখুঁতভাবে করতে হবে । (t-shirt design ideas drawing)
আপনি চাইলে কিন্তু মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে এই কাজটি করতে পারবেন এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই । তবে কাজগুলো করার জন্য আপনার ভেতর অবশ্যই থাকতে হবে প্রফেশনাল মানের ধারণা । এখন টি-শার্ট ডিজাইন এ যারা নতুন রয়েছেন তাদের অনেকটা মন খারাপ হতে পারে কিন্তু প্রথম অবস্থায় এ বিষয়ে যদি আপনার মোটামুটি ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনিও চাইলে কাজটি শুরু করতে পারেন । টি শার্ট ডিজাইন এর কাজ গুলো করতে হলে আপনার ভেতর অবশ্যই যে জিনিসটি থাকতেই হবে সেটি হচ্ছে সৃজনশীলতা । তার কারণ হচ্ছে আপনাকে সবসময় নতুন নতুন তৈরি করতে হবে । (T shirt design for students jobs)
ছোট-বড় যে কাজ গুলো রয়েছে সে কাজগুলো সম্পন্ন করতে আমাদের কিন্তু অবশ্যই ধারণার প্রয়োজন হয়ে থাকে । ঠিক তেমনি আমাদেরকে এ বিষয়টির ওপর কাজ করতে হলে সর্বপ্রথম ধারণা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন । ধারণা এবং অভিজ্ঞতা না থাকলে খুব ছোট ছোট এবং সহজ কাজগুলো কিন্তু আপনার কাছে অনেকটা কঠিন বলে মনে হবে । এজন্য টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ গুলো করার জন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম জানতে হবে এই কাজগুলো কিভাবে করতে হয় । (how to T-shirt design)
টি-শার্ট ডিজাইন কি ?
সচরাচর আমরা সবাই টি শার্টের সাথে কমবেশি
পরিচিত । পরিধান করার জন্য মানুষের মধ্যে টি-শার্টের চাহিদা তুমুল লক্ষ্য করা যায় । টি-শার্টের আকৃতি ইংরেজি অক্ষর গুলোর মধ্যে T আকৃতির হওয়ার কারণে এটির নাম টি-শার্ট দেওয়া হয়েছে । মার্কেটগুলোতে আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্ট দেখতে পেয়ে থাকি । ডিজাইন গুলোর মধ্যে আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করতে পারি যে প্রতিটা টি-শার্টের ডিজাইন কিন্তু আলাদা আলাদা দেওয়া হয়েছে । একটির সাথে আরেকটির মিল খুব কম দেখা যায় ।
আমাদের ভেতরে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে অনলাইনে টি-শার্টের ডিজাইন করে কি আসলেই টাকা ইনকাম করা যায় । অনেকে হয়তো টি-শার্টের ডিজাইন করে অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে অন্যদিকে অনেকেই আবার টি শার্ট ডিজাইন করে ইনকাম করা যায় এটা জানেই না । যাই হোক টি শার্টের ডিজাইন করে অনলাইন থেকে টাকা কামিয়ে নেওয়াটা সবার পক্ষে পসিবল নয় । এ কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে ।
টি-শার্ট গুলোতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন লক্ষ্য করতে পারি । অনলাইন থেকে এই ডিজাইনগুলো করে আমরা ইনকাম করতে পারবো । টি-শার্ট কে একটি আকর্ষণীয় লুক দেওয়ার জন্য এর ভিতরে যে নকশা করা হয় সেটি মূলত টি-শার্ট ডিজাইন নামে পরিচিত । কেবলমাত্র মার্কেটগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে এই কাজগুলো করা যায় না বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে ঘরে বসে আপনি পরোক্ষভাবে টি-শার্টে নকশা করে ইনকাম করতে পারবেন । তবে নকশা করার জন্য অবশ্যই আপনার স্কিলগুলোকে ডেভেলপ করতে হবে ।
অন্যের ডিজাইনগুলকে কি কপি করা যাবে ?
অনলাইন জগতে কাজ করার জন্য আমরা যে ভুলটি করি তার মধ্যে কমন একটি ভুল হচ্ছে আমরা অন্যের দেওয়া ডিজাইন গুলোকে কপি করে নিজেদের নাম দিয়ে মার্কেটপ্লেসে চালিয়ে দেই । পরবর্তীতে দেখা যায় আমাদের ডিজাইন গুলোকে মার্কেটপ্লেস থেকে মুছে দেওয়া হয় অথবা কপিরাইট ক্লেইম চলে আসে । এই কাজটির জন্য অনেকেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারে না । এতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় ।
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য আমরা অন্যের ডিজাইন কে কি কপি করতে পারবো ? না , কখনোই না । এখানে কেবল কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনার নিজের তৈরি ডিজাইন মার্কেটপ্লেসে তুলে ধরতে হবে । তবে আপনি অন্যের ডিজাইন থেকে ধারণা নিয়ে নতুন করে ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন । তবে তাদের ডিজাইন থেকে আপনার ডিজাইনটি আলাদা হতে হবে শতভাগ মিলে গেলে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার ডিজাইনটি ডিলিট করে দেওয়া হবে ।
ইনকাম করার জন্য এই বিষয়টির উপর আমাদের লক্ষ্য সব সময় জোরদার রাখতে হবে । অন্যের ডিজাইনকে কপি করে মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করা যাবে না । সম্পূর্ণ নিজের তৈরি ডিজাইন করে মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে ইনকাম করা যাবে । অনলাইনে আপনি টাকা ইনকাম করার জন্য কাজ করবেন কিন্তু অন্যের ডিজাইন চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া টা অন্যায়ের শামিল ।
একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার টাকা ইনকাম করার জন্য কখনোই অন্যের তথ্যগুলোকে কপি করে না তারা সর্বদা তাদের নিজস্ব ডিজাইন গুলোকে মার্কেটপ্লেসে তুলে ধরে ইনকাম করে । যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কপি করার চিন্তাভাবনা মাথায় নিয়েছেন তারা কখনো অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে সফল হবেন না ।
টি-শার্ট ডিজাইন করার ওয়েবসাইট
টিস্প্রিং মূলত টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য একটি আদর্শ প্লাটফর্ম যেখানে আপনি টি-শার্ট ডিজাইন করে সেল করতে পারবেন । কাজ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ওয়েবসাইট সম্পর্কে চিনতে হবে তা না হলে কাজ শিখার পর আমরা কোথায় কাজ করবো বা কোথায় কাজ করতে পারব সে বিষয়টি যদি না জানি তাহলে কাজ করে ইনকাম করাটা আমাদের মধ্যে অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে ।
আপনি যদি টি-শার্ট ডিজাইন করার পর মার্কেটপ্লেসগুলোতে সেল করতে চান তাহলে আপনাকে টিস্প্রিং নামক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে । এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের কাছে আপনার তৈরীকৃত ডিজাইনটি বিক্রি করতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনি অনেকটা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন । এই ওয়েবসাইটটিতে আপনার ডিজাইন করা টি-শার্টগুলো সাপ্লাই দিতে পারবেন ।
এ প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য আপনাকে ডিজাইন এবং মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে । এই প্লাটফর্মে আপনি চাইলে নিজেই ডিজাইন করে টিশার্ট গুলো বিক্রি করতে পারবেন । টি-শার্ট ডিজাইন করে বিক্রি করার জন্য এই প্লাটফরমটি অনেক বড় । টি শার্ট ডিজাইন এবং বিক্রি করে আপনি চাইলেই এই প্লাটফর্মটি থেকে প্রতি মাসে 1000 ডলার বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন ।
টিস্প্রিং প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কিন্তু এই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে জানতে হবে । এখানে আপনি আপনার পছন্দমত টি-শার্ট ডিজাইন করে বিক্রি করতে পারবেন । তবে অবশ্যই ডিজাইন সম্পর্কে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে । যদি আপনি একজন ভাল মানের graphic-designer হয়ে থাকেন তাহলে এ কাজগুলো খুব ভালোভাবে করতে পারবেন আর যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডিজাইনের গঠন সুন্দর এবং মানসম্মত রাখতে হবে ।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই কাজটির ভূমিকা
এমন অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং কে বেছে নিয়েছে । আউটসোর্সিং পেশার ডিজাইন এর ক্যাটাগরির মধ্যে থেকে টি-শার্ট ডিজাইন পেশাটি করেও তারা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হয়েছে । লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা এই কাজটি করে ফ্যামিলিকে আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে । তাছাড়া দেখা গেছে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হওয়ার পরেও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ততটা কনফিডেন্স থাকে না ।
যার কারণে তারা তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে অনেকটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে । অনলাইনে টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ গুলো বর্তমানে স্টুডেন্টদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজটির মাধ্যমে নিজেদেরকে আর্থিকভাবে লাভবান করার জন্য টি-শার্ট ডিজাইন কাজটি বেছে নিয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা ।
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য কোন কোন বিষয়গুলোর উপর যত্নবান হতে হবে ?
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর যত্নবান হতে হবে নয়তো মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পরেও ইনকাম করতে পারবেন না । নিচে কিছু বিষয়ের উপর আলোচনা করা হল যে গুলোর উপর লক্ষ্য রাখলে আপনি টি-শার্টের ডিজাইন করে মার্কেটপ্লেস অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
১ / ডিজাইনিং এর কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকেে একটি ভালো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে ।
২ / টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে আপনি যখন নতুন কাজ করবেন তখন হয়তো আপনার ভিতরে ভালো অভিজ্ঞতা নাও থাকতে পারে এ জন্য অন্যের কাছ থেকে ধারণা নিতে হবে ।
৩ / প্রয়োজন হলে ইউটিউব এবং গুগল থেকে মানসম্মত টিউটোরিয়াল দেখে নিজেদেরকে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে ।
৪ / কাজ করার জন্য নিজের আগ্রহ থাকা প্রয়োজন এজন্য আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ফ্রীল্যান্সার হতে হলে নিজের ক্রিয়েটিভিটির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে ।
৫ / ধরুন কোনো বিষয়ে আপনার ধারণা একটু কম তো এখন আপনি কি ভাবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ইউটিউব এবং গুগল থেকে ধারণা নিবেন সে বিষয়ে আপনার ধারণা থাকা আবশ্যক ।
৬ / প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রমের প্রয়োজন এজন্য আপনাকে অনেক পারিশ্রমিক হয়ে উঠতে হবে । পারিশ্রমের সাথে লড়াই করে বিজয় অর্জন করতে পারলে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করাটা আপনার কাছে কিছুই নয় ।
আরও জানতে এখানে ক্লিক করে দ্বিতীয় পর্বটি দেখে নিন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন