how to learn web designing from basics
ওয়েব ডিজাইন করে কিভাবে টাকা ইনকাম করব?
প্রথম পর্বটি যারা মিস করেছেন এখানে ক্লিক করে দেখে নিন ।
অনলাইনে ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো প্রায় সকল স্থানেই পাওয়া যায় । অনলাইনে ডিজাইনিং এর কাজগুলো প্রায় সময় আমাদের চোখে পড়ে । অনলাইনে মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো বিভিন্ন স্থানে রয়েছে যেখানে আপনি চাইলেই ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করে ইনকাম করতে পারবেন । ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করে যেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো । (web design money)
১ / ডিজাইন এজেন্সিতে চাকুরী
২ / প্রজেক্ট ডিজাইন থেকে ইনকাম
৩ / ওয়েব ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
৪ / নিজের এজেন্সিতে ওয়েব ডিজাইন করে টাকা আয়
৫ / ওয়েব ডিজাইন ব্লগিং
ডিজাইন এজেন্সিতে চাকুরী
আমাদের দেশের ভিতরে অনেক ডিজাইন এজেন্সি রয়েছে যেখানে ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করে একজন ডিজাইনার ইনকাম করতে পারে । আপনি চাইলে কিন্তু এই ধরনের এজেন্সিতে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এখানে কাজ করে মাস শেষে একটি সেলারি অর্জন করতে পারবেন । ডিজাইন এজেন্সিতে কাজ করতে হলে আপনাকে কাজের প্রতি ততটা প্রেসার দিতে হবে না এবং এখানে আপনি খুব সহজেই কিন্তু ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন । (web design agency)
দেশীয় ক্লায়েন্ট এবং কোম্পানি আপনাকে যে কাজগুলো ডিজাইন করে দিতে বলবে সেগুলো ভালোভাবে করে দেওয়াই একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে আপনার দায়িত্ব । এখানে কাজ করার ফলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো কোম্পানিগুলোতে কাজ থাকুক বা না থাকুক আপনি কিন্তু আপনার সেলারি পেয়ে যাবেন । কোনো এক কারণে এই কোম্পানিতে কাজ করতে আপনার ভালো লাগছে না তখন কিন্তু আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত অন্য একটি কোম্পানিতে ট্রানস্ফার হতে পারবে
প্রজেক্ট ডিজাইন থেকে ইনকাম
চাকুরী করার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে অন্যান্য প্রজেক্টে যোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন । এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি আলাদা আলাদা কোম্পানি থেকে বেতন পেয়ে যাবেন । একদিকে রয়েছে বেতন অন্যদিকে রয়েছে প্রজেক্ট স্যালারি । প্রজেক্টে কাজ করাটা অনেকটা চাকুরীর মতোই তবে আপনি যদি চান সে ক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রজেক্টে কাজ করতে পারবেন । প্রজেক্টে যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে থাকে তারা in-house এর মাধ্যমে ইনকাম করে থাকেন ।
প্রজেক্ট ডিজাইন এর কাজ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় । এখানে একটি নির্দিষ্ট বা চুক্তিবদ্ধ স্যালারির মাধ্যমে ডিজাইনিংয়ের কাজ করে যেতে হয় । প্রজেক্টে আরো অন্যান্য ওয়েব ডিজাইনার রয়েছে যাদের সাথে শেয়ার করে ডিজাইনের কাজগুলো করা যাবে । সুবিধার পাশাপাশি আমরা কিছু অসুবিধাও দেখতে পাই তার মধ্যে প্রধান যে অসুবিধা সেটি হলো চাকরির মতো প্রজেক্ট ডিজাইনে কাজ করার জন্য কোন স্বাধীনতা
নেই । এখানে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণের স্যালারি যার কারণে বাড়তি কোন আয়ের সুবিধা পাওয়া যায় না ।
ওয়েব ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইন থেকে কাজ করার জন্য যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং । ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এবং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করে আপনি চাইলে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন । একজন অভিজ্ঞ ওয়েব ডিজাইনার মার্কেটপ্লেস থেকে মাস শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিতে পারে । তবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে থেকে ওয়েব ডিজাইনের কাজগুলো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের হাত ধরতে হবে ।
মার্কেটপ্লেসগুলতে কাজ করতে আপনি অনেকটাই স্বাধীনতা পাবেন । কোন কোম্পানিতে আপনি কাজ করবেন এবং কোন প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করবেন না সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর । কাজ করতে হলে আপনি পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম যেকোনটি পছন্দ করতে পারবেন । পৃথিবীর যেকোন দেশে বসেই আপনি অনলাইন থেকে আউটসোসিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশার ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করতে পারবেন । মার্কেটপ্লেস থেকে ওয়েব ডিজাইনার কাজগুলো করতে হলে আপনাকে অনেক সময় কষ্ট করে ক্লায়েন্ট খুঁজে নিতে হবে ।
নিজের এজেন্সিতে ওয়েব ডিজাইন করে টাকা আয়
বিজনেসের ক্ষেত্রে যদি আলাদা ভাবে আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজেই ওয়েব ডিজাইন করে একটি এজেন্সি খুলে নিতে পারবেন । সেখানে আপনার কোন ক্লায়েন্ট বা বায়ার নেই আপনি নিজেই আপনার ওয়েব ডিজাইন গুলো মার্কেটের আপলোড এর মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন । নিজের এজেন্সি খুলতে হলে আপনি কিন্তু প্রথম অবস্থায় মার্কেটে উচ্চপদে যেতে পারবেন না এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আস্তে আস্তে এগোতে হবে ।
অনলাইন ভিত্তিক আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর পাশাপাশি প্রায় সকল মার্কেটপ্লেসে এজেন্সি একাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে । আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে এই সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে । নিজস্ব এজেন্সির মাধ্যমে আপনি চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং দুটি কাজ একসাথে করতে পারবেন । যেহেতু আপনি নিজেই নিজস্ব এজেন্সি অ্যাকাউন্টের মালিক সেহেতু আপনার নিজের বিজনেস বৃদ্ধি করার জন্য সুযোগ ও সুবিধা রয়েছে ।
ওয়েব ডিজাইন ব্লগিং
ওয়েব ডিজাইনিং থেকে আয় করার আরও একটি ভালো উপায় হচ্ছে নিজের একটি ওয়েব ডিজাইন ব্লগিং সাইট তৈরি করা । নিজের করা ডিজাইন গুলোকে ওয়েব ডিজাইন ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি চাইলে মার্কেটপ্লেসে প্রমোট করতে পারবেন । নিজের ব্লগিংয়ে আপনি চাইলে আপনার করা ওয়েব ডিজাইন গুলো ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের কাছে বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন ।
ব্লগিং করতে হলে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না যার কারণে আপনি বিনা চালানেই ওয়েব ডিজাইন ব্লগিং করতে পারবেন । ব্লগিং ডিজাইনে আপনি পেয়ে যাবেন নিজের মনের মত কাজ করার মতো স্বাধীনতা । তবে প্রথম বছরের ব্লগিং থেকে আপনার আয়ের নাও হতে পারে তবে এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই পরবর্তীতে যখন ইনকাম শুরু হবে খুব ভালো এমাউন্টের টাকা আপনি পকেটে গুনে নিতে পারবেন । ব্লগিং করার জন্য আপনার কঠোর পরিশ্রমই হতে হবে কেননা এখানে অনেকটা সময় এর প্রয়োজন ।
শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েব ডিজাইন
আমাদের দেশে অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা ইনকাম করার জন্য আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশা গুলোর মধ্যে ওয়েব ডিজাইনকেই বেছে নিয়েছে । ওয়েব ডিজাইনের কাজগুলো করে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা মাস শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে সফলতা অর্জন করেছে ইতিমধ্যেই । আবার অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কোন রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না । তাদের জন্য ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো অনেকটাই সুবিধা বয়ে আনতে পারবে বলে আমি আশা করি ।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উপার্জন করার বিশাল সুযোগ রয়েছে । একজন স্টুডেন্ট লেখাপড়ার পাশাপাশি ওয়েবডিজাইনে সময় দিতে ততটা কষ্ট সাধ্য মনে করবে না । কাজগুলো করার জন্য আলাদা ভাবে তাদের রয়েছে অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান । অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান থাকার কারণে ওয়েব ডিজাইনের কাজগলো করতে তাদের দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয় না । অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আউটসোসিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশার ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে ।
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে ?
আপনি যদি প্রফেশনালভাবে ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি ফলো করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহকে ডেভেলপ করতে হবে ওয়েব ডিজাইনের কাজের প্রতি । ওয়েব ডিজাইনের কাজগুলো করতে হলে আপনার ভেতরে নিত্যনতুন এবং ক্রিয়েটিভিটি মানের আইডিয়া থাকতে হবে । কাজগুলো করার জন্য আপনাকে ততোটা শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন নেই । তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে কাজগুলো করার জন্য আপনার ব্যাপক ধারণা আগে থেকেই জানা থাকবে । এতে করে কাজগুলো করা আপনার পক্ষে অনেকটাই সহজ বলে মনে হবে । ওয়েব ডিজাইনের কাজ গুলো করতে হলে অবশ্যই আপনার স্কিলকে কতটা শক্ত করতে হবে সেটা আপনারা হয়তো ভাল করেই জানেন । একটি ভালো স্কিন গড়তে ব্যর্থ হলে আপনি কিন্তু কখনো আউট সিং এবং ফ্রিলান্সিং পেশায় ইনকাম করতে পারবেন না ।
আবার ওয়েবডিজাইনে যারা একেবারে নতুন বা বিগীনার তারা হয়তো ভাবতে পারেন যে একজন অভিজ্ঞ মানের ফ্রিল্যান্সারের ভালো ক্রিয়েটিভিটি থাকার কারণে তারা হয়তো অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিয়েছে কিন্তু যারা নতুন তারা হয়তো এটা পারবে না । এই ধারণাটির সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করছি । তার কারণ হচ্ছে এই কাজগুলো যে কেউ চাইলে করতে পারবে । কাজ করার জন্য উচ্চমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে না । কাজগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে এ কাজগুলো আপনি খুব সহজেই মার্কেটপ্লেসে অথবা বায়ারদের করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন । এক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না । তবে যে বিষয়টি না বললেই নয় অবশ্যই আপনাদের সবসময় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে একটি কাজ করার পরে আপনার পরবর্তিতে ঐ কাজটি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যদি অতীতের ধারণা এবং অভিজ্ঞতাগুলো ভুলে যান তাহলে কিন্তু এই কাজগুলোতে আপনাকে উপরে উঠতে অনেকটা সময় লেগে যাবে ।
পেমেন্ট পদ্ধতি
আমাদের অনেকের এটা মনে হয়ে থাকে যে আমরা এখানে কাজ করে ইনকাম করলাম ঠিক আছে কিন্তু এখন কথা হল ইনকাম করা টাকা গুলো কিভাবে আমাদের কাছে আনবো বা এখানে কি উপায় ফলো করতে হবে । আপনার ইনকাম করা টাকা গুলো কিভাবে উঠানো যাবে । সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো ।
ডিজাইনের কাজ গুলো করার জন্য আপনি দেশে এবং বাইরের মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন । যদি আপনি দেশের ভেতরে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন তাহলে মাস শেষে আপনার ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা আপনাকে প্রত্যক্ষভাবেই আপনার স্যালারি আপনার হাতেই বুঝিয়ে দিবে । আর যদি আপনি দেশের বাইরের কোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি টাকা উত্তোলন করার জন্য যে কোন পদ্ধতি বেঁছে নিতে পারবেন না । আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোর টাকা উত্তোলনের জন্য পেপাল , পেওনিয়ার এবং ব্যাংকের সহ আরো অন্যান্য পদ্ধতি সাপোর্ট করে থাকে । এক্ষেত্রে আপনি আন্তর্জাতিক টাকা উত্তোলন কারেন্সি ব্যবহার করে আপনার পকেটে আনতে পারেন । যেমন ধরেন আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা দিবেন ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে নিয়ে আসলেন অতঃপর সেখান থেকে আপনি চাইলে যেকোন মাধ্যমে অথবা আপনার দেশের যেকোনো কারেন্সির মাধ্যমে আপনার কাছে টাকাটি নিতে পারবেন খুব সহজেই ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন