Photography online course free
অনলাইন থেকে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা । ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বৈচিত্র্যময় কাজগুলোর কথা উঠলেই ফটো এডিটিং এর কথা মনে পড়ে যায় । ফ্রিল্যান্সিং পেশার সহজ কাজ গুলোর মধ্যে ফটো এডিটিং অন্যতম এবং এর জনপ্রতিনিধিও অনেক । ডিজিটাল এই সময়ে এমন কাউকে দেখা যায় না যার হাতে স্মার্টফোন নেই । আগে হয়তো ছবি তোলার জন্য আলাদাভাবে ক্যামেরার প্রয়োজন হতো কিন্তু স্মার্টফোন আবিস্কারের পরপরই দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার ব্যবহার । ছবি তোলার জন্য কেবলমাত্র একটি স্মার্টফোনেই যথেষ্ট । স্মার্টফোন গুলোতে খুব ভালো সেন্সরের ক্যামেরা পারফরম্যান্স দেওয়া হয়ে থাকে । যেগুলো দিয়ে সচরাচর খুব ভালো মানের ছবি ক্যাপচার করা সম্ভব । বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের ছবিগুলোকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে এডিট করে থাকি বা করতে পছন্দ করি । (selling photos online for beginners)
এবার মূল বিষয় হচ্ছে ফটো এডিট এর মাধ্যমেও আপনি চাইলে ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন । একথাটি যিনি প্রথমবার শুনছেন তার কাছে ব্যাপারটা অবাক করার মত । ফটো এডিট করার মাধ্যমে মাস শেষে একটি ভালো মানের পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে । বর্তমান সময়ে ফটো এডিটিং এর চাহিদা মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপক এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা যায় । অন্যান্য কাজগুলো থেকে এ কাজটিতে খাটাখাটনি তুলনামূলকভাবে অনেক কম । শখের বশেও অনেক ফ্রিল্যান্সার ফটো এডিট করে অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকে । তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো মানের ফটো এডিটর হতে হবে । কিভাবে ফটো এডিট করলে ইমেজটিতে একটি ভালো লুক দেওয়া যায় সে বিষয়ে অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে । ( best place to sell photos online)
ফটো এডিটিং বলতে কি বুঝায় ?
ফটো এডিটিং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর অন্যতম একটি বড় সেক্টর । সচরাচর আমরা একটি ছবি তোলার পর সেটিকে প্রিমিয়াম লুক দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডকে কালারফুল করার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি তাকে ফটো এডিটিং বলে । আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা কিনা শখের বিষয়ে যেকোনো ছবি এডিট করতে পছন্দ করে আবার অনেকেই আছে যারা অনলাইনে ফটো এডিট করে হাজার হাজার টাকা গুনে নিচ্ছে । (photography editing course)
নিম্নমানের একটি ছবিকে বিভিন্ন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে গর্জিয়াস অথবা ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে ফটো এডিট এর কাজ করা হয় ।
একটি ছবিকে চমকপ্রদ লুক দেওয়ার জন্য ফটো এডিট এর কোন বিকল্প নেই । পার্সোনাল কাজের পাশাপাশি ইনকাম করার জন্য অনেকেই এ কাজটিকে বেছে নিয়েছে । (online photo editing course)
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ফটো এডিট করে কি কাজ করতে হয় ?
অনলাইনে লেখাপড়ার পাশাপাশি এখন ইনকাম করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে । প্রায় সবার হাতেই দেখা মিলবে স্মার্টফোনের । হাতের স্মার্টফোনটিকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা হলে কেমন হয় । একজন অভিজ্ঞ মানের ফটো এডিটর হিসেবে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে । তার পরে সেখান থেকে আপনি চাইলে নিজে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের কাজ করে দিয়েও উপার্জন করতে পারবেন । অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে , স্মার্টফোন অথবা ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে আপনি যে ছবি ইডিট করতে চান তার একটি নমুনা ক্লিক করে নিতে হবে । যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে ইনকাম করতে চান তাহলে ছবিটিকে এডিট করার পর আপনার ব্লগ সাইটে সংরক্ষন করে রেখে দিতে হবে । ছবিগুলো আপলোড করার পর ভিজিটরদের ভিউ অনুযায়ী মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্যালারি আয় করে নিতে পারবেন । (Photography editing software)
প্রতি ছবিতে 1000 জন ভিজিটের জন্য আপনার ইনকাম হবে 2.60 ডলার । আরেকটি আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে আপনি যদি কাউকে রেফার করে থাকেন তাহলে তার মোট আয় থেকে 10% পেয়ে যাবেন । তবে এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে অন্যের ছবি ব্যবহার করা যাবে না তাহলে কপিরাইট ক্লেইম আসার সম্ভাবনা রয়েছে । অন্যদিকে আপনি ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের আন্ডারে থেকে তাদের কাজগুলো করে দিয়ে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন । ফটো এডিটের কাজ করে ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে । তাদের মত আপনিও পারবেন ফটো এডিটের কাজ করে হাজার হাজার টাকা কামাতে । তবে ছবিটি সম্পূর্ণ নিজের হতে হবে অন্য কারো ছবি নেওয়া যাবে না । (Photography editing app)
কোম্পানি অথবা ক্লায়েন্টদের ফটো এডিটরদের কেন প্রয়োজন হয় ?
বড় বড় কোম্পানিগুলোর বিজনেস মার্কেটিং থাকার কারণে প্রডাক্ট ব্রান্ডিং এবং সার্ভিসিং এর জন্য ছবির প্রয়োজন হয়ে থাকে । তাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় না থাকার কারণে অন্যদেরকে কিছু টাকার বিনিময়ে কাজটি করিয়ে নেয় । অপরদিকে পণ্যের প্যাকেজিং এবং ব্রান্ডিংয়ের জন্য সর্বদা ইউনিক অথবা নতুন নতুন আইডিয়া বের করতে হয় । ইউনিক কিছু তৈরি করার জন্য তাদের ছবির প্রয়োজন হয়ে থাকে । (Photography work)
আমাদের দেশের পণ্য গুলো নিয়ে প্রায় সময়ই অভিযোগ দেওয়া হয়ে থাকে । তার কারণ হচ্ছে ছবিতে দেওয়া থাকে একরকম আর বাস্তবে দেখা যায় অন্যরকম । এর কারণ হলো তারা হাই কোয়ালিটি কোন ছবি নিয়ে সাধারণ মানের জিনিস ক্রয় বিক্রয় করে থাকে । যার কারণে কিন্তু গ্রাহকদের আস্থা দিন দিন কমে যায় । কিন্তু একটি ভালো কোম্পানি কখনও চাইবেনা তাদের গ্রাহকদের যেন আস্থা হারিয়ে যায় । অপরদিকে একটি ভালো ক্যামেরা দিয়েও পণ্যের খুব একটা ভালো ছবি তোলা সম্ভব হয় না । যার কারণে ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের ফটো এডিটরের সাহায্য নিতে হয় । আশাকরি এখন হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা কেন একজন ফটো এডিটর হায়ার করে
থাকে । (Photoshop)
ফটো এডিটরের ক্যারিয়ার
ফটো এডিটিং এর কাজ গুলো কেবলমাত্র কোম্পানিগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । আপনি চাইলে ব্যক্তিগতভাবেও কাজ করতে পারবেন । ওয়েডিং ফটো , পুরাতন ছবি নতুন ভাবে ক্যাপচার করার কাজ মার্কেটপ্লেসে অনেক রয়েছে । তবে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফার তাদের বানানো ছবিগুলো স্টকে রেখে মার্কেটে বিক্রির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন । এক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় এবং কারও অধীনে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই । ফটো এডিটিং এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সারের কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট চলে আসে । এটা কিন্তু ফ্রিল্যান্সার আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হয়ে থাকে । ফটো এডিটর কাজ করে আপনিও সাফল্য অর্জন করতে পারবেন । তবে অবশ্যই অন্যজনের থেকে আপনার ডিজাইনটি বেস্ট হতে হবে । আপনি চাইলেই কিন্তু একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারবেন তবে সব থেকে ভালো হয় কাজগুলো করার জন্য আপনি যদি একটি ল্যাপটপ চয়েজ করেন । একজন ফটো এডিটরের ক্যারিয়ার নিয়ে কখনো ভাবতে হয় না । সাফল্য সর্বদাই তাকে ঘিরে থাকে । (Photography career online)
ছবি সেল করার সাইট কোথায় পাবো ?
একটি ভাল মানের ছবি তৈরি করার পর আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে এই ছবিটি আমরা কোথায় সেল দিতে পারব । মার্কেটপ্লেসগুলোতে ছবি সেল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে । মার্কেটপ্লেসের সাইটগুলোতে আপনি চাইলে নিজে একাউন্ট খুলে আপনার তোলা ছবি এডিট করার পর সেগুলোকে বিক্রি করতে
পারবেন । অনেক বড় বড় ফটোগ্রাফার রয়েছে এবং কোম্পানি রয়েছে যারা আপনার ছবিটিকে চয়েজ করার পর একটি নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে আপনার কাছ থেকে কিনে নিবে । আশা করা যায় এর জন্য আপনি একটি ভাল অ্যামাউন্ট পাবেন । ছবিগুলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেন ফলো , স্টক ফটো , ফটো শেল্টার , আর্ট স্টোর ফ্রন্টস ইত্যাদি । প্রফেশনাল ফটো এডিটররা এসব সাইট থেকেই ছবি বিক্রি করে ইনকাম করে থাকে । আপনি চাইলেও এখান থেকে আপনার ছবিটি ডিজাইন করে বিক্রি করতে পারবেন । (top 10 photo selling websites)
ফটো এডিটিং করার জন্য কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে ?
ফটো এডিটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অথবা অফার পাওয়া যায় । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের অফার থাকে ফটো এডিটিং কনটেস্ট এর উপর । এই কনটেস্টে যোগদান করার জন্য ফ্রিতে একাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে । প্রতিযোগিরা যে যার এডিটিং করার ছবি সাইটটিতে আপলোড দিয়ে থাকে তারপরে ক্লায়েন্ট অথবা বায়ার তাদের নিজেদের পছন্দ মত ফটো এডিটিং এর ওপর প্রথম ও দ্বিতীয় বিজয়ী নির্ধারণ করে থাকে । এমন অফার বাংলাদেশেও প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে থাকে । এখানে অংশগ্রহণ করে আপনিও জিতে নিতে পারেন উপহার । এছাড়াও আপনার এডিটিং করা ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হোস্টিং করে রাখতে পারেন । যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন । তবে এখানে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে । কেননা এখানে শুধু আপনি প্রতিযোগী নয় আপনার মতো অভিজ্ঞ আরো অনেকেই এখানে অংশগ্রহণ করবে । তাদেরকে টপকিয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য কি পরিমান অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন সেটা আপনাদের বোঝার কথা । (Photography for beginners)
কিরকম ছবি আপলোড দিতে হবে ?
আপনার আপলোড করা ছবিগুলো কেমন হতে হবে যারা নতুন তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে । আপনার তোলা ছবিটি যেন পোস্টার , ওয়েবসাইট কিংবা বিজ্ঞাপনে আপলোড করা যায় সেই রকম ছবি ডিজাইন করতে হবে । আপনার মত আরো অনেক প্রতিযোগী রয়েছে যারা অনলাইনে ইনকাম করে থাকে ফটো এডিটিং করে । তাদের থেকে অবশ্যই ভালো ফটো এডিট করতে পারলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্টের কাছে আপনার চাহিদা বেড়ে যাবে । তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে অন্যের থেকে আলাদা এবং নতুন কিছু ছবি ম ক্লায়েন্ট এর মাঝে তুলে ধরতে হবে । যাতে খুব সহজেই ছবিগুলো দেখে ক্লায়েন্টের নজর কাড়তে বাধ্য হয় । কাজ শুরু করার পূর্বে সাইটটিতে ঘুরে দেখবেন আসলে সবাই কিরকম ছবি আপলোড করে থাকে । তাদের কাজের থেকে কিছুটা আইডিয়া নিলে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে । তবে বেস্ট হয় আপনি যদি বেশি সেল হওয়া ছবি গুলো ফলো করেন । সব সময় মনে রাখবেন এখানে নিজের তোলা ছবি আপলোড করতে হবে । অন্যের ছবি আপলোড করার সময় কপিরাইট
আসতে পারে । (sell photos online for free)
ছবি বিক্রি করে কি পরিমান টাকা উপার্জন করা যাবে ?
আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে আপনার ছবিটিকে বিক্রি করতে চান তাহলে কমিশন অনুযায়ী আপনি ইনকাম করতে পারবেন । প্রতিটি ছবি আপনি যে দামে বিক্রি করবেন তার সম্পূর্ণ মূল্য আপনি পাবেন না । তার কারণ হলো আপনি যে মার্কেটপ্লেস থেকে ছবিটি বিক্রি করবেন তারা 60 থেকে 70 শতাংশ রেখে বাকিটা আপনাকে দিবে । আপনার ছবিটিকে তারা বিক্রি করে দেওয়ার কারণে তাদেরকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা দিতে হয় । তবে ছবির মালিককে 20 থেকে 30 শতাংশ সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে । আপনার ছবিটি যদি 100 বার বিক্রি করা হয় তাহলে প্রতিবার বিক্রির জন্য আপনি কিছু কমিশন পেয়ে যাবেন । ছবি বিক্রির কাজ করে আপনি মাসে প্রায় 150 ডলার বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন । যখন অভিজ্ঞ মানের ফটো এডিটর হয়ে যাবেন তখন এর থেকে অনেক গুন বেশী পরিমাণে ডলার ইনকাম করতে পারবেন । (photography payment)
ফটোগ্রাফি করে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন এবং ফটোগ্রাফি কাজ সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করে দ্বিতীয় পর্বটি দেখে নিন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন