work from home t-shirt design
টি শার্ট ডিজাইন এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের স্বাগতম প্রথম পর্বটি যারা মিস করেছেন এখানে ক্লিক করে দেখে নিন ।
টি-শার্ট ডিজাইন এর প্রাথমিক পর্যায় যা করতে হবে
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজাইন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে । ডিজাইন সম্পর্কে যদি আপনার ভাল জ্ঞান না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ডিজাইন করে কাজটিকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবেন । ভালো ডিজাইন করার জন্য আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস সবার প্রথমেই গড়ে তুলতে হবে । টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য আপনার ভেতর থাকতে হবে নিত্যনতুন চিন্তাভাবনা ।
কাজ শুরুর প্রথম পর্যায় আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনার ভেতরে অবশ্যই প্রয়োজন হবে ধৈর্যের । নিজেকে যদি একজন ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী বানিয়ে নিতে পারেন একপর্যায়ে কিন্তু আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন টি-শার্টের ডিজাইন করে । প্রথম পর্যায়ে ইনকাম করাটা হয়তো আপনার কাছে অনেক কষ্টদায়ক বলে মনে হবে তবে আপনি যখন অভিজ্ঞ মানের টি-শার্ট ডিজাইনার হয়ে যাবেন তখন ইনকাম করাটা আপনার কাছে অনেকটাই সহজ বলে মনে হতে পারে । প্রথম পর্যায়ে খুব একটা বেশি ইনকাম করতে পারবেন না কারণ প্রথম পর্যায়ে আপনাকে ডিজাইন করা শিখতে অনেকটা সময় লাগবে । যে কথাটি না বললেই নয় ধৈর্যসহকারে আপনি যদি এই কাজটি একবার শিখতে পারেন তাহলে ভবিষতের চিন্তা কখনো আপনার মাথায় আসবে না । নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করতে পারবেন সবার মাঝে ।
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের কাজটি বিষয়ে ততটা আগ্রহ না থাকার কারণে তারা কিন্তু প্রথম পর্যায়ে নিজেদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলে । সেজন্য প্রথম পর্যায়ে ধারণা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই ধৈর্যধারণ করাটা শিখতে হবে । প্রথম পর্যায়ে আপনার উপর অনেক বিপদ আসতে পারে তবে কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না । আউটসোসিং এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে একজন দক্ষ টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে অনলাইনে কাজের কোন অভাব নেই এবং ইনকাম করা যাবে প্রচুর পরিমাণে ।
অভিজ্ঞ টি-শার্ট ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে ?
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডিজাইনার হতে হবে । তার মূল কারণ হলো ডিজাইনিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি একাই নন আপনার মতো আরও লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা টি-শার্ট ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করে থাকে । তাদের থেকে একটু ভিন্ন ডিজাইন করে মার্কেটপ্লেসে নিজের অবদান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন ভাল মানের ডিজাইনার হতে হবে ।
ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা কাজ দেওয়ার জন্য তাকে নির্বাচন করবে যার ডিজাইন গুলো তাদের কাছে পছন্দ হবে । অন্যান্যদের থেকে আপনার ক্রিয়েটভিটি এবং সৃজনশীলতা একটু ভিন্ন রকম যার কারণে আপনি চাইলে তাদের থেকে অনেকটা আলাদা ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন অন্যান্য টি-শার্ট ডিজাইনারদের থেকে আপনার ডিজাইন সম্পূর্ণ ইউনিক বা ভিন্ন হতে হবে ।
এখন কথা হল যারা প্রথম পর্যায়ে রয়েছে তারা কিভাবে একজন ভালো এবং অভিজ্ঞ ডিজাইনার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে নিজেদেরকে তুলে ধরবে ? মনের ভেতরে এই প্রশ্নটি জাগা নতুনদের জন্য অসম্ভবের কিছু নয় । আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে মার্কেটপ্লেসে অনেক লোক রয়েছে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার পক্ষে সম্ভব কিনা । এ প্রশ্নটির উত্তরে আমি আপনাকে বলব অবশ্যই সম্ভব হবে যদি আপনার ভিতরে তেমন ক্রিয়েটিভিটি বা অভিজ্ঞতা এবং কাজ করার আগ্রহ থেকে থাকে ।
প্রথম পর্যায়ে আপনি ডিজাইনিং মার্কেটপ্লেসে ঘুরে দেখবেন । সেখানে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ডিজাইন করা ছবিগুলো আপলোড করে থাকে । তাদের ডিজাইন করা টিশার্ট গুলো থেকে আপনি চাইলেই ধারণা নিয়ে নতুন করে নিজেই একটি টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারবেন । তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যেই ডিজাইন থেকে ধারণা নিয়েছেন সেটি জেন আর আপনার করা ডিজাইন যাতে কখনোই একই রকম না হয়ে যায় ।
কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে জানা
একজন ফ্রিল্যান্সার যখন ধারণা নিয়ে কাজ করা শিখে যাবে তখন তাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম করা যায় । মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে কাজ করে ইনকাম করাটা আপনার পক্ষে অনেকটাই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়াবে । অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কিন্তু সবশেষে মার্কেটপ্লেসগুলোর উপর নজর রাখতে হবে । তার কারণ হলো কোন কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন সেটা জানা একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য অনেকটাই জরুরী ।
আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ টি-শার্ট ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে টিস্প্রিং নামক মার্কেটপ্লেসে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হবে । এছাড়াও আরো অন্যান্য ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের মধ্যে টিস্প্রিং মার্কেটপ্লেস আউটসোসিং এবং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আলাদা ভাবে পরিচিত । যারা নতুন তারা হয়তো বুঝতে পারবে না টিস্প্রিং মার্কেটপ্লেস আসলে কি এখানে কি করা যায় ? টিস্প্রিং মার্কেটপ্লেস হল টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস । এখানে অনেক ফ্রিল্যান্সার ডিজাইন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী লাভ করেছে ।
অনলাইনে কিভাবে কাজ পাওয়া যাবে ?
কাজ শিখে যাওয়ার পরে প্রফেশনাল ভাবে একজন টি-শার্ট ডিজাইনার হয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোথায় কাজ করতে হবে এবং কোথায় কাজ পাওয়া যায় । কেননা কোথায় কাজ করে ইনকাম করতে হবে সেটি যদি আপনি না জানেন তাহলে ইনকাম করার রাস্তা কিন্তু আপনার জন্য বন্ধ । কাজ করে নিয়মিত ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে হবে ।
এখন কথা হল মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে জানলাম এখন আমি কিভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করবো এই প্রশ্নটি আমাদের মধ্যে যারা নতুন তাদের সকলের মধ্যেই দেখা যায় । মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি নিজস্ব স্ট্রং প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার কাজের ধারণা এবং আপনি কি কি কাজ করে দিতে পারবেন ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের সে বিষয়ে কিছু তথ্য প্রোফাইলে যুক্ত করতে হবে । এতে করে আপনার পাশাপাশি সুবিধা হবে ক্লায়েন্টদেরও । তাদের কাজগুলো করানোর জন্য খুব সহজে আপনাকে খুঁজে নিতে পারবে ।
টি-শার্টের ডিজাইনিং করে আপনি চাইলে দুই ভাবে কাজ করতে পারবেন । প্রথমত ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা তাদের কাজগুলো করানোর জন্য রীতিমতো অন্যদের সহায়তা নিয়ে থাকে কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে । তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট দিয়ে আপনাকে হায়ার করবে তাদের কাজটি করে দেওয়ার জন্য । তবে অবশ্যই আপনি লক্ষ্য রাখবেন তাদের কাজটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দেওয়ার এতে করে আপনার প্রোফাইল রেংকিং এর পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । এতে করে তারা পরবর্তীতে কোন কাজ করানোর জন্য আপনাকে বেছে নিবে মার্কেটপ্লেস থেকে ।
দ্বিতীয় কাজটি হল ধরুন আপনি একজন অভিজ্ঞ ডিজাইনার এখানে আপনি কাজ করার জন্য কোন ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের পারিশ্রমিক নেন না । যেখানে আপনি নিজেই আপনার ডিজাইন গুলো করে মার্কেটে আপলোড করার মাধ্যমে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন । এখানে কাজগুলো সম্পূর্ণই নিজের ব্যক্তিগত ভাবে থাকার কারণে ফ্রিডম বা স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আপনি যখন ইউনিক ভাবে একটি ডিজাইন তৈরি করে মার্কেটে আপলোড করবেন সেটি যখন কোন ক্লায়েন্ট অথবা বায়ার আপনার কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের মাধ্যমে কিনে নিবে । তবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার ডিজাইন করা টি-শার্ট টি সর্বোচ্চ একবার বিক্রি করতে পারবেন । বিক্রি করে উপার্জনকৃত টাকার সম্পূর্ণটা কিন্তু আপনি পাবেন না । তার কারণ হলো আপনি যে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজটি করেছেন তারা আপনার ইনকাম থেকে কিছু টাকা কেটে রাখবে । তবে এই কাজগুলোর একটি ভালো দিক হলো আপনার ডিজাইন করা টি-শার্টেই মার্কেটগুলোতে যতবার বিক্রি হবে ঠিক ততবার এর জন্য আপনি আলাদাভাবে কিন্তু একটা কমিশন পেয়ে যাবেন ।
একজন প্রফেশনাল মানের টি-শার্ট ডিজাইনার মাস শেষে প্রায় 2 লক্ষ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করে থাকে । কথাটি স্বপ্নের মতো লাগলেও এটাই কিন্তু
বাস্তব । অনেক টি-শার্ট ডিজাইনার রয়েছে যারা ইতিমধ্যেই এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে সফল হয়েছে । ডিজাইন সম্পর্কে আলাদা বিশেষ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকলে আপনিও কিন্তু টি-শার্ট ডিজাইন করে মাস শেষে কামিয়ে নিতে পারবেন অনেক টাকা ।
স্মার্ট ফোন দিয়ে কি এই কাজগুলো করা যাবে ?
টি-শার্ট ডিজাইন অথবা ডিজাইন সম্পর্কিত অন্যান্য কাজগুলো করার জন্য আপনাকে কিন্তু অবশ্যই একটি ভাল মানের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এর প্রয়োজন হবে । যারা এই স্মার্টফোন দিয়ে এই কাজগুলো করার চিন্তাভাবনা করেছেন তার জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারাই স্মার্টফোন অথবা মোবাইল ফোন দিয়ে কিন্তু এ কাজগুলো করতে পারবেন না । এই জন্য আপনাদেরকে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এর সাহায্য নিতে হবে ।
কাজগুলো করার আগ্রহ আছে কিন্তু ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার নেই আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে তাদের ভেতরে এই বিষয়টি একটি চিন্তার বিষয় । এ কাজগুলো করার জন্য যদি আপনার কাছে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ডিভাইস গুলো কিনে নিতে হবে । বিনিয়োগ অথবা ইনভেস্ট ছাড়া আসলে কিছু করা সম্ভব নয় এই সময়ে । যদি আপনি ইনভেস্ট অথবা বিনিয়োগ না করেন তাহলে অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করবেন ।
পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি
সবার প্রথমে বলে রাখি আপনি যে দেশেই থাকেন না কেনো সে দেশ থেকে কিন্তু আপনি এ কাজগুলো করতে পারবেন এক্ষেত্রে কোন ধরা বাধা নেই । অনেকে কাজ করলেন কাজ করে টাকা ইনকাম করলেন কিন্তু এই টাকাগুলো কিভাবে আপনি আপনার পকেটে নিবেন সে বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই । আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলো ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি যেমন পেপাল , ব্যাংক ট্রান্সফার , পেওনিয়ারের , ওয়েব মানি সাপোর্ট করে থাকে । আপনি কি পদ্ধতিতে পেমেন্ট নিতে চান সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দেশ থেকে কাজগুলো করছেন । আপনি যে দেশে থেকে কাজ করছেন সে দেশে যদি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে থাকে তাহলে আপনি সেই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন । আর আপনি যে দেশ থেকে কাজ করছেন সেই দেশে যদি আন্তর্জাতিক কারেন্সিগুলো না থাকে তাহলে দেশের সাপোর্ট করা অন্যান্য মেথড গুলো ফলো করতে হবে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন