Ads

best freelancing training center in bangla


প্রতিটা মানুষই চায় আত্মসম্মানবোধ নিয়ে সকলের সামনে তার সেরাটা উপস্থাপন করার জন্য হয়তবা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না আসলে কিভাবে হবে আর্থিক অবস্থা যার দুর্বল থাকে তার তো আর ভালো কিছু করে যে মানুষকে দেখাবে তার সেরাটা সেই সুযোগটা তার থাকে না । (Freelancing website for beginners)

হয়তোবা আমাদের মাঝে অনেকেরই মেধা রয়েছে কিন্তু পুঁজি নেই এমন মেধাবী লোক ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা রোজগার করবে কিভাবে ? কিংবা আবার অনেকে রয়েছে টাকা থাকার সত্বেও টাকা উপার্জন করতে পারতাছে না কারণ তার কাছে বিজনেস প্ল্যান নেই । আবার এরকম অনেক মানুষ রয়েছেন যার কাছে দুটি রয়েছে যার কাছে এ দুটি একসাথে রয়েছে আল্লায় দিলে বুঝতে পারতেছেন সে কতটা ভাগ্যবান কিংবা ভাগ্যবতী

যাই হোক নির্ম শ্রেণীর মানুষ হোক আর মধ্যবিত্ত হোক কিংবা অ্যাডভান্স লেভেলের লোক । না বুঝে বিভিন্ন জাগায় যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের মধ্যে 99.99 শতাংশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তর সম্মুখীন হয়েছেন এরকম সোনা যায় চারিদিকে । দুনিয়াতে খুব কম লোকই আছেন যারা না বুঝে কাজ করলেও সফলতা পেয়ে থাকেন ।


দুনিয়াতে এখন খুব কম মানুষই হয়তো আল্লায় দিলে আমি যা বুঝি রয়েছে যারা কিনা কাছের মানুষদের কে ভালো পরামর্শ কিংবা উপকার করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকেন । কারণ এখন বেশিরভাগ মানুষই চায় তার আশেপাশের মানুষরা কষ্টে থাক শুধু সে নিজেই সুখে থাক ।

যাই হক কথায় বলে তোমার কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে তোমার আশেপাশের মানুষগুলো বলবে তুমি কোথায় ? আর তোমার কাছে যদি টাকা না থাকে তাহলে তোমার আশেপাশের মানুষগুলো বলবে তুমি কে ?

যদি আপনি টাকা ইনকাম করার দলে পড়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরণের সর্বোচ্চ সিঁড়িতে নিয়ে যেতে পারে আল্লাহ পাকের দয়ায় ও রাসুলের উসিলায় আপনাকে যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে এই কাজগুলো করেন কারণ বর্তমান পৃথিবীতে সবচাইতে জনপ্রিয় ও বেশি বেশি টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ভূমিকা রাখছে অনলাইন ভিত্তিক এই কাজগুলো ।

 যারা অনলাইনে নতুন কিংবা পুরানো রয়েছেন যারা অনলাইনে থাকতে পছন্দ করেন কিংবা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তারা ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি বা আউটসোসিং শব্দটি শোনেননি এমন মানুষ আসলে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল হবে । 


তবে আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে বা আউটসোর্সিং করে টাকা উপার্জন করতে চান তাদের জন্য কারণ আজকে যে আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজানো হয়েছে এখানে ফ্রিল্যান্সিং জগতের এটুজেড তুলে ধরা হয়েছে যাতে করে আপনারা প্রতি মাসে 1 থেকে 2 লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করতে পারেন শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে ।

আজকের আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত এর উপর ভিত্তি করে ।

এবার আসুন আমরা আস্তে আস্তে করে সবকিছু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে লাইফটাইম কাজ করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারি কিংবা কাজগুলো কিভাবে একটার পর একটা আমরা শিখতে পারি । তবে এটা মনে রাখবেন টাকা উপার্জনের কথা মাথায় আনার আগে কাজগুলো শিখে নিতে হবে
 তাহলে টাকা অটোমেটিক লাইফে চলে আসবে আল্লায় দিলে ইনশাল্লাহ


How to start freelancing for beginners-ফ্রিল্যান্সিং কি?




ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণা


ফ্রিল্যান্সিং শব্দটিকে ইংরেজি শব্দ থেকে সংগৃহীত করা হয়েছে , যার বাংলা অনুবাদ হচ্ছে মুক্ত পেশা । অর্থাৎ মুক্ত ও স্বাধীন ভাবে মেধা শ্রম ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে যে আয় করা যায় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে । সহজভাবে বলতে গেলে , আপনি যদি কোন চাকরি করেন তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রম দিতে হবে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কাজটা সম্পূর্ণ আপনার আয়ত্তে অথবা ব্যক্তিগতভাবে থাকবে । এখানে চাকরির মতো কোন বাধ্যবাধকতা ও নিয়ম-নীতি মেনে অন্যের অধীনে কাজ করতে হবে না । ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্তের কাজ অন্য প্রান্তে থেকে অনলাইন থেকে আয় করার পদ্ধতিকে ফ্রিল্যান্সিং বলে । অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সার পেশায় নির্দিষ্ট কোন মাসিক বেতন ভাতা না থাকলেও রয়েছে স্বাধীনতা । মাসিক বেতন ভাতা না থাকলেও যেকোনো সরকারি এবং বেসরকারি বেতন থেকে কয়েক গুণ বেশি উপার্জন করা সম্ভব । যারা প্রফেশনালভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে তারা মাসিক বেতনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকে ।  নিজের আয়ত্তে থাকার কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে । স্বাধীনভাবে আয় করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পেশা । কাজটি ইন্টারনেটভিত্তিক এর আওতায় থাকার কারণে দেশী এবং বিদেশী বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হবার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে । 




ফ্রিল্যান্সার কারা


মেধাশ্রম এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপ এর সাহায্যে যারা  অনলাইনে স্বাধীনভাবে কাজ করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার অথবা আউটসোর্সিং বলে । যারা নতুন তারা হয়তো একটি প্রশ্ন করতে পারেন  আউটসোসিং বলতে কী বোঝায় ? আউটসোসিং এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হল আউট বলতে বুঝায় আলাদা বা ভিন্ন অপরদিকে সোর্স বলতে বুঝায় মাধ্যম সুতরাং আউটসোর্সিং কথাটির অর্থ দাঁড়ায় কোন ভিন্ন মাধ্যম বা অন্য জনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া । কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো যখন তাদের নিজস্ব কাজগুলোকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অন্যজন দিয়ে করিয়ে নেয় তখন তাকে আউটসোসিং বলে ‌‌। কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ যে ব্যক্তি করে দেয় তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার । আশাকরি এখন এই বিষয়ে কারো কোন সমস্যা নেই । আরো একটি প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে আর সেটি হল যদি অনলাইন ভিত্তিক এই কাজটি দেশের ভিতরে কাউকে দিয়ে করানো হয় বা করে দেওয়া হয় তাহলে সেটিকে কি আউটসোসিং এবং ফ্রিল্যান্সার বলা যাবে ? হ্যাঁ অবশ্যই সেটিকে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সার বলা যাবে হোক সেটি দেশের ভেতরে কিংবা দেশের বাহিরে থেকে কাজ কেননা ইন্টারনেটভিত্তিক এই কাজটি যে কাউকে দিয়ে করানো হলে তাকে আউটসোসিং বলা যাবে এবং স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ দিয়ে অন্যের কাজগুলোকে স্বাধীনভাবে করে দেওয়াকেই ফ্রিল্যান্সার বলে ।



নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ভুল ধারণা



আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকের মাঝেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ভুল ধারণা বিদ্যমান আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা এ কথাটি প্রথম বার শুনছে । তারা হয়তো মনে করে থাকে অনলাইনে ঢুকে মোবাইল টিপলে হয়তো আয় করা যায় কিন্তু বাস্তবে এ কথাটি সঠিক নয় । একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী তাকে সে বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান অথবা দক্ষতা থাকতে হবে  । বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ছাড়া অনলাইনে উপার্জন করা অসম্ভব । ইন্টারনেটভিত্তিক এই কাজগুলো স্বাধীনভাবে করা গেলেও অবশ্যই প্রয়োজন হবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার । ফ্রিল্যান্সিং কাজের যে বিষয়ে ব্যক্তির অভিজ্ঞতা রয়েছে কাজ করার জন্য তাকে সে বিষয় বেছে নিতে হবে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সাইন্স , আর্স এবং কমার্স আলাদা তিনটি বিভাগ এখন কথা হলো কেউ কিন্তু একসাথে তিনটি বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে না যার যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা ভালো সে ঐ বিষয় নির্বাচন করে থাকে । ঠিক এমনটা এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যায় । ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য যারা নতুন আগ্রহী তাদেরকে অবশ্যই অভিজ্ঞতার উপর লক্ষ্য করে কাজ বেছে নিতে হবে । আর যদি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে সে যে বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ের উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে ।



ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কাজগুলো জনপ্রিয়তা রয়েছে



সবার অভিজ্ঞতা সব বিষয়ের উপর সমান নয় । সবাই যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটিমাত্র বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা লাভ করবে বা একজন সবগুলো বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা লাভ করবে এমনটা কিন্তু নয় । যার অভিজ্ঞতা যে বিষয়ের উপর বেশি সে ঐ বিষয়ের ওপর কাজ করবে । কারণ সব বিষয় নিয়ে একটি মানুষের ক্ষেত্রে কাজ করা সম্ভব নয় । তবে আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি চাইলে তিন থেকে চারটা বিষয়ের উপর কাজ করা সম্ভব । যদি আপনি তিন থেকে চারটা বিষয়ের উপর কাজ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েই থাকেন তাহলে আপনি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন । কারণ চারটি বিষয়ের উপর কাজ করার ক্ষেত্রে সবগুলো বিষয়ে সমান সময় দেওয়া সম্ভব নয় তাছাড়া কাজ গুলো আপনার কাছে ডিফিকাল্ট বলে মনে হতে পারে । সবথেকে ভালো হয় যদি একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা লাভ করে সেই বিষয়টিকে ধরে রাখা । আর যদি আপনার একাধিক বিষয়ে জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি চাইলে একের অধিক বিষয়ের উপর কাজ করতে পারেন । ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেকগুলো বিষয় এর উপর কাজ করার সুযোগ রয়েছে । ফ্রিল্যান্সাররা এর ভেতর থেকে যে যেই বিষয় পছন্দ সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা লাভ করে কাজ করে থাকে । অনলাইনভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশায় কাজ করার জন্য জনপ্রিয় কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর ওপর দক্ষতা বা স্কিল বাড়িয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুবিধা রয়েছে ।



২/ লোগো ডিজাইন ( Logo Design )

৩ / ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development )

৪ / টি-শার্ট ডিজাইন ( T-shirt design )

৫ / এসইও ( SEO )

৬ / ফটো এডিটিং ( Photo Editing )

৭ / ওয়ার্ডপ্রেস  ( Word press )

৮ / মোশন গ্রাফিক্স ( Motion Graphics )

৯ / ওয়েবসাইট  ফ্লিপিং ( Website Flipping )

১০ / সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( social media marketing )

১১ / ইউটিউব মার্কেটিং ( YouTube Marketing )

১২ / লেখালেখি ( Writing )

১৩ / অনুবাদ ( Translate )

১৪ / ডাটা এন্ট্রি ( Data Entry )

১৫ / ডিজিটাল মার্কেটিং ( Digital Marketing )

১৬ / অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার ( Android app developer )

১৭ / আইওএস ডেভেলপার ( IOS Developer )

১৮ / কম্পিউটার অপারেটর ( Computer Operator )

১৯ / গুগল এডসেন্স ( Google AdSense )

২০ / এইচটিএমএল ( HTML )

২১ / থ্রিডি এনিমেশন ( 3D Animation )

২২ / ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ( Virtual assistant )

২৩ / বিজনেস কার্ড ডিজাইন ( Business Card Design )

২৪ / ব্লগিং ( Blogging )

২৫ / মাইক্রোসফট এক্সেল ( Microsoft Excel )

26 / ফেসবুক মার্কেটিং (Facebook marketing)

27 / ইত্যাদি ইত্যাদি



বেকারদের এই পেশায় আসা উচিত কেন ?


আমাদের দেশে বর্তমানে দিন দিন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বাড়লেও সে হারে বাড়েনি কর্মসংস্থান । যার কারণে দেশে বেকারত্বের প্রভাব বেড়েই চলেছে । যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষিত মানুষ গুলোকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে বেকারত্ব নামক অভিশাপ । বর্তমান এই সময়ে চাকরির বাজার প্রায় বিলীন বললেই চলে আর সেখানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেশা অর্থনৈতিক সচ্ছলতার প্রধান চালিকাশক্তি । এর মধ্যে অনেকেই যারা চাকুরীর পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন কাজ শেষে দিনের কিছুটা সময়ে আয়ের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিয়েছেন । ফ্রিলান্সিং পেশায় নিয়োজিত থেকে মানুষ এক ভাবে যেমন দেশের বেকারত্বের হার দূর করতে পারছে অপরদিকে দেশের ভিতরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে । দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার জন্য তাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ । অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে ঠিক অপরদিকে দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন কমছে ।



স্টুডেন্টদের এই পেশায় নিয়োজিত থাকা প্রয়োজন কেন ?



ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার বিষয় গুলো স্টুডেন্টদের কাছে অনেকটা জনপ্রিয় বলে মনে হতে পারে । কেননা বিষয়গুলো সম্পর্কে এক্সপেরিয়েন্স এবং দক্ষতার  উপস্থিতি তাদের ভেতর লক্ষ করা যায় । তাছাড়া বর্তমান এই সময়ে স্টুডেন্ট এর ভেতর থেকে প্রায় অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত এবং এদের মধ্যে প্রায় অনেকেই আবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে । ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো স্বাধীনভাবে করার সুযোগ রয়েছে যার কারণে স্টুডেন্টরা লেখাপড়ার পাশাপাশি এই পেশাটিকে পার্ট টাইম জব হিসাবে করতে পারে । লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশার গুরুত্ব অনস্বীকার্য । কাজটিতে স্বাধীনতা থাকার কারণে একদিকে যেমন আয় করা যাচ্ছে বাড়তি কিছু আয় এবং কন্টিনিউ করা যাবে লেখাপড়াও । ফ্রিল্যান্সিং পেশার ফলে উন্নতি ঘটছে হাজারো পরিবারের এবং সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা । দেশের সর্বোচ্চ লেখাপড়া কোর্স কমপ্লিট করার পরেও অনেক শিক্ষিত স্টুডেন্ট চাকরি না পাওয়ার কারণে তাদের বেকারত্ব নামক অভিশাপের মুখোমুখি হতে হয় । অপরদিকে একটা স্টুডেন্ট যদি তার লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্টটাইম জব হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে সে এই পেশাটিকে ফুলটাইম জব হিসেবে কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে । উপরিউক্ত আলোচনায় এটা বলা যেতে পারে , বেকারত্ব এড়াতে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য স্টুডেন্টদের ফ্রিলান্সিং পেশায় নিয়োজিত থাকা প্রয়োজন । (outsourcing jobs for students in bangladesh)




ফ্রিল্যান্সিং‌ পেশায় নতুনদের  প্রথম কাজ পেতে যা করতে হবে ? 



ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেকটা প্রতিযোগিতা দেখতে পাওয়া যায় । পূর্বের কাজের ফিডব্যাক ছাড়া কাজ পাওয়া মুশকিল । প্রতিটা ক্লায়েন্ট এমন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে চায় যাদের কাজের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা এবং আগের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে । নতুন ফ্রিল্যান্সারকে ওডেক্সে কাজ পাওয়ার জন্য কোন বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি রাখতে হবে , চলুন জেনে নেয়া যাক । 


১ / সবার প্রথমে আপনার প্রোফাইলটি গুছিয়ে লিখুন ওডেক্সে এবং যদি আপনার এই বিষয়ে কোন ধারণা না থাকে তাহলে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল দেখুন তাহলে অনেকটা বুঝে যাবেন । এবার যেখানে যে তথ্যগুলো দেওয়া প্রয়োজন সেগুলো সাবমিট করুন । তথ্যগুলো দেওয়ার পর কয়েকবার আপনার প্রোফাইলটা চেক করুন চোখের দৃষ্টিতে কোন ভুল ত্রুটি ধরা পড়লে সেগুলোকে এডিট করে ঠিক করে নিবেন ।



২ / আপনার নিজস্ব যে দক্ষতা স্কিল গুলো রয়েছে সেগুলো লিখে দিন অর্থাৎ আপনার যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে বা আপনি যে বিষয়ে কাজ করার জন্য আগ্রহী সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করুন । কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে ক্লায়েন্ট সব সময় সেগুলো দেখেই আপনাকে নির্বাচন করবে তাদের কাজগুলো করে দেওয়ার জন্য ।



৩ / অবশ্যই টাইটেল গুছিয়ে লিখতে ভুলবেন না , টাইটেল এমন ভাবে গুছিয়ে লিখুন যে ক্লায়েন্ট প্রথম দেখাতেই যেন আপনার অভিজ্ঞতার উপর পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে পারে । কাজ পাওয়ার জন্য গুছিয়ে টাইটেল লেখার প্রয়োজন রয়েছে এতে করে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায় ।



৪ / যে কাজের উপর আপনার কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা অথবা ধারণা রয়েছে সে বিষয়গুলোর উপর বিড করুন । এ দিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন যে বিষয়গুলোর উপর আপনার কোন ধারনা নেই সে বিষয়গুলো কখনোই বিড করবেন না । 




৫ / এলোমেলোভাবে না লিখে গুছিয়ে সুন্দরভাবে কাজটি আপনি কিভাবে করবেন সে বিষয়ের উপর একটি কভার লেটার লিখে ফেলুন । ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের কাছে কভার লেটারটি সেন্ড করার পূর্বে অবশ্যই কয়েকবার চেক করবেন । মনে রাখবেন মার্জিত এবং সুন্দর কভার লেটার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক ভূমিকা রাখে ।



৬ / এবার পালা রেট নির্ধারণ করার । কখনো মাত্রাতিরিক্ত অথবা অপ্রাসঙ্গিক দাম বিড করবেন না । খুব কম এবং অনেকটা বেশি দাম বিড করলে বায়ার আপনার প্রতি নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে পারেন । কাজের ধরন অথবা কোয়ালিটি দেখে দাম নির্ধারণ করবেন । যেহেতু কাজটি আপনি প্রথমবারের মত পেতে যাচ্ছেন সেহেতু কাজটি তুলনামূলক কম দামে করতেও আপনি রাজি হবেন তবে ততটা কম নয় । উপরের আলোচনা গুলো একটির পর একটি ফলো করেন তাহলে আপনি কিন্তু খুব দ্রুত এবং সহজে কাজ পেয়ে যাবেন ।



অনলাইনে বেশি কাজ পাওয়ার ৭ টি উপায়



ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে খুব সহজে কাজ পাওয়ার জন্য এবং ক্লায়েন্টদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রোফাইলের গুরুত্ব অত্যাধিক ব্যাপক । আপনি যদি অনলাইনে বেশি কাজ পেতে চান তাহলে এগ ৭টি স্টেপ আপনাকে জেনে নিতে হবে । কাজ পাওয়ার উপায় গুলো আলোচনা করা হলো :


১ / নতুন প্রোফাইল তৈরি করা


প্রোফাইলের ভেতর নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া এই ভুলটি আমরা অনেকেই হয়ত করে থাকি । ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা ব্যক্তিগত তথ্য জানার জন্য কখনোই আগ্রহ দেখায় না । তারা দেখতে চায় তাদের কাজগুলো করার জন্য আপনার কাছে যোগ্যতা আছে কিনা । আপনার কাজের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদেরকে বুঝাতে হবে অন্যদের থেকে আপনি বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন । কোন কাজগুলো সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রোফাইলে সেগুলো যুক্ত করুণ । পূর্বে কাজ করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কোন সম্মাননা , পুরষ্কার , প্রশংসাপত্র , পেয়ে থাকেন সেগুলো আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারেন । ওয়েব সাইট অথবা বিখ্যাত কোন পত্রিকায় আপনার লেখা কোন আর্টিকেল , ভিডিও ডিজাইন বা অন্য কিছুর প্রসারতা থেকে থাকে তাহলে এগুলো আপনার প্রোফাইলে এড করতে পারেন । মনে রাখবেন বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এগুলোর ব্যবহার অপরিহার্য ।


২ / একজন আদর্শ ক্লায়েন্ট প্রোফাইল তৈরি করতে হবে ?


এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা সব কাজে বিড করে থাকে , কাজগুলো সম্পর্কে তার যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক । এটা একটি ভুল ধারণা এতে আপনার অনেক সময় নষ্ট হবে বা বিফলে যাবে । শিক্ষাগত যোগ্যতা , বয়স , লিঙ্গ এবং আয়ের প্রমান এসব প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন আপনি ক্লায়েন্টের কি কাজ করে দিতে পারবেন । এছাড়া আপনি যেসব ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে চান তাদের কাছে আপনার কাজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন । 


৩ / নিজস্ব স্কিল টেস্ট দিতে হবে


স্কিল টেস্ট এর রেজাল্ট দেখে প্রায় 77 শতাংশ ক্লায়েন্ট তাদের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার বেছে নেয় যা ফ্রিল্যান্সারের এক সার্ভেতে দেখা গিয়েছে । এ কাজটি দশজন ক্লায়েন্ট এর মধ্যে প্রায় আটজন করে থাকেন । তাই আমাদের যত বেশি সম্ভব স্কিল টেস্ট দেওয়া উচিত আপনার কাজের ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে । যত বেশি সম্ভব ইংরেজি বিষয়ে স্কিল টেস্ট দেওয়া উচিত । তবে মনে রাখবেন আপনার যে বিষয়গুলোতে যোগ্যতা এবং দক্ষতা বেশি সে বিষয়গুলো কাজের ক্যাটাগরিতে দিতে হবে । তাহলে বায়ার আপনাকে খুব সহজেই চিনতে পারবে তার কাজটি করে দেওয়ার জন্য । 



৪ / অবশ্যই গ্রুপে জয়েন করতে হবে   


আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং গুরুপে জয়েন করতে হবে । গ্রুপে জয়েন হওয়ার মাধ্যমে আপনার পেশাগত দক্ষতা সম্পর্কেেক্লায়েন্ট খুব সহজেই জানতে পারে । গ্রুপে থাকার কারণে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের সাথেও পরিচিত হতে পারবেন । এছাড়া ক্লায়েন্ট অথবা বায়াররা খুব সহজে  তাদের কাজের জন্য আপনাকে হায়ার করতে পারবে । এজন্য অবশ্যই আপনার প্রোফাইল আইডিটাকে ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপের আওতাভুক্ত করে রাখবেন । মনে রাখবেন এটি অত্যন্ত অতীব জরুরী ।



৫ / দ্রুত কার্যকর হওয়া


আপনি যখন দেখতে পাবেন যে কাজটি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে মিলে গেছে ঠিক তখনই সঠিকভাবে আপনাকে প্রপোজাল তৈরি করতে হবে । প্রপোজাল তৈরি করার পরে বিড করে ফেলুন । যত দ্রুত আপনি রেসপন্স করবেন আপনার প্রপোজাল টি ততবেশি ক্লায়েন্টের চোখে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে । যদি ক্লায়েন্ট আপনার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য ইনভাইট পাঠায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে এড হবেন । ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় সতর্কতার সাথে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলুন এবং ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অবশ্যই ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করবেন ।



৬ / অবশ্যই নিজেদের মর্যাদা বজায় রাখতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং সার্ভেতে দেখা গেছে ক্লায়েন্টের দেওয়া কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে করে দেওয়ার ফলে আপনি লাভ করতে পারবেন 5 স্টার ফিডব্যাক । ক্লায়েন্টের সাথে ভালো আচরণ এবং যোগাযোগ রাখতে কখনো ভুলবেন না ‌‌। গ্রাহক যেন বিরক্ত না হয় এ বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে । এমন কোন আচরণ করবেন না যাতে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ ব্যাহত হয় এবং আপনার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারে । যদি আপনি গ্রাহকদের সাথে খারাপ অথবা বাজে ব্যবহার করেন তাহলে তারা আপনার বিরুদ্ধে খারাপ ফিডব্যাক দেওয়ার সামর্থ্য রাখে ফলশ্রুতিতে আপনি হারাতে পারেন আপনার প্রোফাইল চিরতরের জন্য ।



৭ / কানেক্টেড থাকতে হবে 


গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ রাখতে ভুলবেন না । যদি আপনার কাছে স্মার্টফোন থেকে থাকে তাহলে ইমেইলের মাধ্যমে যুক্ত থাকুন ফ্রিল্যান্সিং পেশায় , এতে করে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে মেইল করলে আপনি যেন সাথে সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । বায়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখাটা অত্যন্ত জরুরী কেননা তাদের সাথে ভালো যোগাযোগ থাকলে কাজ পেতে হলে আপনাকে ততটা কষ্ট করতে হবে না । আর এজন্যই তাদের সাথে যোগাযোগ রাখাটা অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ । উপরের আলোচনায় বেশি কাজ পাওয়ার 7 টি উপায় তুলে ধরা হয়েছে ‌‌।  উল্লেখিত উপায় গুলো ফলো করে আদর্শ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশি কাজ পাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠুন ।



অর্থ তোলার নির্দেশনাসমূহ


আগ্রহ থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হলেন , কাজ করার পর কাজটি সাবমিটও করে ফেললেন । এবার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কাজের মাধ্যমে যে পারিশ্রমিক আয় করেছেন সেটি ঘরে কিভাবে আনবেন । ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো টাকা তোলার জন্য যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাস্টার কার্ড , পেপাল , স্কিল বা মানিবুকার ,ব্যাংক ট্রানস্ফার  ইত্যাদি ‌‌‌‌‌ । এখন এটা দেখার বিষয় আমাদের দেশে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য কি কি সাইট রয়েছে ‌‌। পেপাল ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে এখনও চালু হয়নি । তাই এটিকে বাদ দিয়ে বাকি তিনটি ব্যবস্থায় টাকা তোলা যাবে । 



ব্যাংক ট্রানস্ফার


ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করে খুব সহজেই হাতে পাওয়ার জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবস্থাটি অনেকটা ঝামেলামুক্ত । ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের উপার্জনকৃত আয়টি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিয়ে থাকে । ব্যাংকিং আওতায় ওডেস্ক থেকে টাকা আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে যায় । তারপর ওয়্যারলেস সিস্টেম যুক্ত করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের উইথড্রয়াল মেথড থেকে ওয়্যার ট্রান্সফারে কনফার্ম করে সেখানে ব্যাংকের সম্পূর্ণ তথ্য সাবমিট করতে হবে । ফ্রিল্যান্সিং সাইট এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সকল তথ্য মিলতে হবে । ট্রানজেকশন পাঠালে প্রথমবারের মতো টাকা আসলে একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে ।



মাস্টার কার্ড


টাকা উইথড্রো করার জন্য মাস্টারকার্ড বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা । পেওনিয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা প্রতিটা ফ্রিল্যান্সারকে অর্থ লেনদেনের জন্য মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে । এ কার্ডটি পাওয়ার জন্য প্রথমে যা করবেন আপনি যে সাইট থেকে পেমেন্ট নিতে  চান তারও উইথড্রো অপশনে গিয়ে মাস্টারকার্ড সিলেক্ট করে দিতে হবে । অতঃপর আপনি মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন । আপনি যদি ওডেক্সে মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে সাইটটির পেমেন্ট মেথডে গিয়ে মাস্টার কার্ড লিঙ্ক এ ক্লিক করলে পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে । নতুন ব্যবহারকারীদের সাইন আপ করার জন্য ন্যাশনাল আইডি নাম্বার অথবা পাসপোর্ট এর নাম্বার দিতে হবে । তারপর সাইন আপ ফরমে  সর্বোচ্চ 30 অক্ষরের মধ্যে আপনার ঠিকানা দিতে হবে । দুটি উপায়ে আপনি আবেদনকৃত মাস্টার কার্ডটি হাতে পাবেন । প্রথমটি হলো , সাধারণভাবে যদি কার্ডটি হাতে পেতে চান তাহলে পেওনিয়ারকে অগ্রিম 20 ডলার দিতে হবে । 20 ডলার খরচ করে সাধারণভাবে কার্ডটি আপনি আপনার হাতে পেতে চাইলে এক মাসের মত সময় লাগবে । দ্বিতীয়টি হলো ডিএইচএল কুরিয়ান সার্ভিস । এ সার্ভিসটির মাধ্যমে আপনি কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই আপনার আবেদনকৃত কার্ডটি হাতে পেয়ে যাবেন ‌‌। বিনিময়ে আপনাকে 60 ডলার খরচ করতে হবে । কার্ড হাতে পাওয়ার পর আপনার করণীয় হচ্ছে , কার্ডটিকে এক্টিভেট করা । যার জন্য আপনাকে পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে । নিরাপত্তার জন্য চার ডিজিটের পিন কোড দিতে হবে । আরেকটি কথা বলে রাখি পেওনিয়ার কখনোই 20 ডলারের কম উইথড্র সাপোর্ট করে না । পেওনিয়ার থেকে আপনি 20 ডলার অথবা তার বেশি পেমেন্ট নিতে পারবেন । যেকোনো সাইট থেকে উইথড্রো  করলে চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আপনার কার্ডে ডলার চলে আসবে । তবে এটি অনুমোদনের জন্য দুই দিন সময় নিবে । তবে আপনি যদি সাথে সাথেই টাকা তুলতে চান তাহলে আড়াই থেকে 3 ডলার খরচ করে টাকা তুলতে পারবেন । কার্ডে টাকা জমা হওয়ার পর নিজ হাতে কিভাবে তুলবেন এটা বলে রাখি , দেশের যেকোন ব্যাংক ছাড়াও এটিএম বুথ থেকে আপনি মাস্টার কার্ডের সাহায্যে টাকা তুলতে পারবেন ।



স্কিল বা মানিবুকার


নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থাটি অনেকটাই জনপ্রিয় বলে পরিচিত মানুষের কাছে । নিরাপত্তার দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং ঝামেলা মুক্ত অর্থ উত্তোলনের জন্য স্কিল বা মানিবুকার এর প্রাধান্য অনেক বেশি । এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানোর জন্য সবার আগে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে । একাউন্টে যে নামটি ব্যবহার করবেন সেটি যেন আপনার সার্টিফিকেট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বহির্ভূত না হয় । কেননা ব্যাংকের টাকা তোলার আগে আপনাকে ভেরিফাই করতে হবে । অবশ্যই মনে রাখবেন কারেন্সি সিলেকশনের জায়গায় ইউএস ডলার ব্যবহারের কথা । অ্যাকাউন্ট করার পরে ভেরিফাই করার জন্য তাদের কাছে আবেদন করতে হবে । আবেদনটি এপ্রুভ হতে বা চিঠি আসতে 25 থেকে একমাস সময় লাগতে পারে । চিঠিতে গোপন কোড লেখা থাকে যা মানি বুকারের নিদৃষ্ট ইনপুটে দিলেই আপনার ঠিকানা ভেরিফাই হয়ে যাবে । প্রথম লেনদেনের টাকা ব্যাংকে আসতে এক মাসের মত সময় লাগে লেগে যায় । ব্যাংকে টাকা আসলো কিনা তা নিয়মিত চেক করে রাখুন । ব্যাংকের যোগাযোগ করে আপনার অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট নিয়ে আসুন এটি প্রয়োজনীয় । এটিকে স্ক্যান করে মানিবুকার এর নিকট পাঠাতে হবে । এটি পাঠানোর জন্য আপনি অবশ্য ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করতে পারেন । ইনফর্মেশন এবং নাম-ঠিকানা ঠিক থাকলে 2 দিন থেকে চার দিনের ভেতর আপনার স্কিল ভেরিফাই হয়ে যাবে । পরিশেষে কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনি এক থেকে দুই দিনের ভিতর ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন ।



ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস


ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে ‌‌। নিচের আলোচনায় সেগুলো নিয়ে বিবেচনা করা হলো । (best freelancing sites for beginners)



১ /  আপওয়ার্কক


বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক । ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রায় সকলেই তাদের প্রথম যাত্রা এখান থেকে শুরু করে থাকে । আপওয়ার্কে মূলত দুই ধরনের কাজ লক্ষ্য করা যায় । প্রথমটি হল ফিক্সট রেট , এর ওপর আলোচনা করলে বলা যায় , যেখানে সম্পূর্ণ কাজটির জন্য একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ।  দ্বিতীয়টি হল ঘণ্টাপ্রতি , যেখানে কাজটি করতে কি পরিমান সময় লাগে তার ওপর বিবেচনা করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয় । এটি অনেকটা জনপ্রিয় ব্যবস্থা । ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই এই মার্কেটপ্লেসটি ফলো করে থাকে ।



২ / ফিভার 


ফিভার নামক মার্কেটপ্লেসের কথা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি আবার প্রায় অনেকেই জানিনা । ফিভার হচ্ছে আউটসোসিংয়ের প্রথম স্থান যেখান থেকে আপনি আউটসোসিং যাত্রায় প্রথম পা রাখবেন । ফিভার মারকেটপ্লেসটি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস কেননা এখানে অনেক ছোট ছোট কাজ করেও বেশি পরিমানে আয় করা যায় । ফ্রিল্যান্সাররা এখানে ইমেজ এডিটিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভের কাজ করে টাকা উপার্জন করে থাকে । ইমেজ এডিটিং আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই ভালো করে থাকি । একটু ভালো ও উন্নত মানের ইমেজ এডিটিং যারা করতে পারি তারা এখানে কাজ করে ভালো থাকা উপার্জন করতে পারবে ।



৩ / freelancer.com


অনেক বড় বড় মার্কেটপ্লেস থাকলেও তাদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস হল freelancer.com । এই মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ করে আপনি অনলাইন থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন । শুধু তাই নয় আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো অন্যদের মাধ্যমে করিয়ে নিতে পারবেন । এই মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি অন্যদের দিয়ে যে কাজগুলো করে  নিতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন , মার্কেটিং , ওয়েবসাইট ডিজাইন , এসইউও ইত্যাদি । এই মার্কেটপ্লেসটিতে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ান ফ্রিল্যান্সার কাজ করে করছে । 


৪ / মাইক্রোওয়ার্কারস


আউটসোসিং কাজ গুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি কাজ করাটা অনেকটা কঠিন । যারা করেন বিষয়টি তারা হয়তোবা জানেন । কম্পিউটার ব্যবহার করে এ কাজটি করা যায় । ক্লায়েন্টদের ডাটা এন্ট্রি করানোর জন্য লোক খোঁজার জন্য হতাশায় ভুগতে হয় কেননা কাজটি করার জন্য শত শত আবেদন পড়ে থাকে । তাদের মধ্যে একজন বেছে নিতে ক্লায়েন্টদের অনেক কষ্টের মুখোমুখি হতে হয় । এ কাজটি প্রথমবারের মতো পেতে হলে এক সপ্তা এমনকি অনেক সময় এক মাস লেগে যায় । এজন্য দেখা যায় অনেক ফ্রিল্যান্সার বিড করার পরেও কাজ না পাওয়ার কারণে ফ্রিল্যান্সিং করা থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । কিন্তু এই মারটপ্লেসটি দিয়ে আপনি চাইলে এখুনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন । এই মার্কেটেপ্লেসে কাজ করার জন্য একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে আর সেই  ওয়েবসাইটটি হলো www.microworkers.com ।



৫ / ৯৯ ডিজাইন


অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলোর থেকেই মার্কেটপ্লেসটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম । এই মার্কেটপ্লেসটিতে শুধু ডিজাইনের কাজ করা হয় । যে সকল ফ্রিল্যান্সাররা ডিজাইন করতে আগ্রহী আয় করার জন্য তাদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস । যে সকল ডিজাইনের ওপর এই মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করা যায় লোগো ডিজাইন , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ব্যানার ডিজাইন , টি-শার্ট ডিজাইন , আইকন ডিজাইন ইত্যাদি । অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলোর থেকে এই মার্কেটপ্লেসকে আলাদা তার কারণ হচ্ছে এখানে ক্রেতা অথবা ক্লায়েন্ট নিজেরাই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে । যেকোনো ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনের কাজ করার জন্য এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে । ক্লায়েন্টের নির্দেশে ডিজাইনাররা ডিজাইন করে থাকেন এবং ক্রেতা বা ক্লায়েন্ট একটি ডিজাইন কে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন এবং তাকে পুরস্কৃত করে থাকেন ।

কিভাবে আমরা কাজ শিখব ?


ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং যেটাই বলি না কেন এই কাজগুলো আমরা বিভিন্ন বিশ্বস্ত অনলাইন কোচের মাধ্যমে শিখে নিতে পারি কিংবা বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে আমরা ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং কাজ গুলোকে শিখে টকা উপার্জন করতে পারি ।

আপনারা জেনে খুশি হবেন ফ্রিল্যান্সিং জগতের যত কাজ গুলো রয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সবগুলো কাজ নিয়ে step-by-step ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেল দেওয়া হবে এই ওয়েবসাইটে এই জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন । 

আমাদের দ্বিতীয় পর্ব টি চলে এসেছে দ্বিতীয় পর্ব টি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads