Ads

best freelancing training center in bangla


দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগতম । প্রথম পর্বটি আপনারা যারা মিস করেছেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কিভাবে কাজ করবেন ও টাকা ইনকাম করবেন এটুজেট জানার জন্য এখানে ক্লিক করে আগের প্রথম পরবর্তী দেখুন ।


How to start freelancing for beginners-ফ্রিল্যান্সিং কি?-ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা Part-2



কভার লেটার লেখার সঠিক নিয়ম 


ফ্রিল্যান্সারদেরকে মাইলেজ দেওয়ার জন্য ভালো এবং আকর্ষণীয় মানের কভার পেজের ভূমিকা অনেক বেশি । কাজের শুরুতেই আপনি যদি ক্লায়েন্টের নজর কাড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কভার পেজ তৈরি করতে হবে । প্রফেশনাল মানের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পাওয়ার আশায় একটি ভাল মানের কভার পেজের প্রতি প্রাধান্য দিয়ে থাকে । তাছাড়া বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন এক সেমিনারে বলেছেন মার্কেটপ্লেস থেকে আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জন্য কভার লেটার এর ভূমিকা অনেক । ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ভালো মানের কভার লেটার তৈরি করার মন্তব্য দিয়েছেন তিনি । একটি ভালো মানের কভার লেটার তৈরি করার জন্য যে দশটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে । (top 10 freelancing training center in bangladesh)



১ / কভার পেজ তৈরি করার জন্য সবার প্রথম যে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে , অবশ্যই আপনার জব ডেস্ক্রিপশন অনুযায়ী কভার লেটার তৈরি করতে হবে । বায়াররা তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার জন্য আপনাকে হায়ার করবে যে কারণে ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝে কভার লেটার তৈরি করতে হবে ।


২ / তারপরে যে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ভাষা । লক্ষ্য করবেন কভার পেজ লেখার সময় যে ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটি নির্ভুল হয়েছে কিনা । যদি কোন ভুল খুঁজে পান তাহলে সেটিকে অবশ্যই ঠিক করে নিবেন । জব দেস্ক্রিপশন দেওয়ার জন্য যত কম শব্দ ব্যবহার করবেন ততই ভালো । কেননা ক্লায়েন্টরা অনেকের কভার লেটার চেক করে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে , যার কারণে তাদের হাতে খুব কম সময় থাকে । সেখানে আপনার বড় মানের জব দেস্ক্রিপশন পড়ার সময় তাদের কাছে থাকেনা । তবে এতটা ছোট আকারে লিখবেন না যেখানে ক্লায়েন্ট আপনার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা না পায় ।


৩ / আলাদা আলাদা জবের জন্য এক কভার লেটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন । আলাদা আলাদা জবের জন্য আলাদা কভার লেটার তৈরি করা উত্তম । মনে রাখবেন এক কভার লেটারে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হতে পারে ‌।


৪ / কভার লেটার লেখার শুরু করার পূর্বেই Hello অথবা Hi কিংবা হায়ারিং ম্যানেজার ব্যবহার করা ভালো । আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই স্যার অথবা ম্যাডাম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এটা করা ঠিক নয় । আপনার কভার লেটারটিকে একটু গর্জিয়াস মানের করার জন্য এই নির্দেশনাটি ফলো করতে পারেন ।


৫ /  ক্লায়েন্টের যে কাজটি করার জন্য এপ্লাই করেছেন ঠিক সেই কাজের জন্য একটি ডেমো কভার লেটার সংযুক্ত করে দিতে পারলে ভালো হয় । যার কারণে খুব সহজেই ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনি কোন কাজে অভিজ্ঞ এবং কি কাজ করতে চান ।


৬ / যে কাজটি করে দেওয়ার জন্য ক্লায়েন্টের নিকট এপ্লাই করেছেন সে বিষয়ে বায়ারকে পরামর্শ দিতে হবে । কাজটি আপনি কিভাবে করে দিবেন এবং কিভাবে করলে ভালো হয় সে বিষয়ে বায়ারকে ধারণা দিতে হবে । তাহলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে তার কাজটি করে দেওয়ার জন্য আপনি যোগ্য বা পারফেক্ট । তখন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায় ।


৭ / স্কাইপে আইডি এবং ইমেইল এড্রেস কখনোই কভার লেটারে যুক্ত করা যাবে না । আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে এটা কভার লেটারে যুক্ত করলে খুব সহজে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে । হ্যাঁ এটা ঠিক , তবে এগুলো তখনই দিবেন যখন ক্লায়েন্ট আপনার কাছে চাইবে ।


৮ / আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই আছে যারা জব দেস্ক্রিপশন এর জায়গায় নিজেদের সম্পর্কে গুণগান গেয়ে থাকেন । এটা ঠিক নয় কারণ আমাদের বুঝতে হবে ক্লায়েন্ট আমাদের সম্পর্কে জানতে কভার লেটার পড়বে না সে কভার লেটারটি এজন্যই পড়বে যে আমরা তার কাজটি করে দেওয়ার জন্য যোগ্য কিনা বা আমাদের ভিতরে কি জ্ঞান অথবা অভিজ্ঞতা রয়েছে ।


৯ / অবশ্যই অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের নাম দিয়ে তারপরে ছোট করে একটি ধন্যবাদ দিয়ে কভার লেটার শেষ করতে হবে । 


১০ / সর্বদা একরকম লেটার লেখা থেকে বিরত থাকুন আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন কভার লেটার তৈরি করে নিবেন । কাজের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে কভার লেটার লেখা উচিত ।


আয় করার আগে যে সাতটি পদক্ষেপ ফলো করতে হবে


১ / একজন আদর্শবান ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার শিখতে হবে ।

২ / ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে হবে ।

৩ / প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার এবং যারা অভিজ্ঞ তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে হবে ।

৪ / ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ইমেইল এবং মেসেঞ্জার এর ব্যবহার জানতে হবে ।

৫ / কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে ।

৬ / ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে এর মার্কেটপ্লেস এবং যে কাজগুলো করবেন সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।

৭ / পরিশেষে আয় করতে পারবেন ।



ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন 


অল্প আয় থেকে শুরু করে অনেক বেশি এমাউন্টের টাকা উপার্জন করা যায় ফ্রিল্যান্সিং করে । ছোট-বড় প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায় । এখান থেকে আপনি কোন বিষয়ে ভালো এবং কোন বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করার সুবিধা রয়েছে । এ কাজগুলো করার জন্য আপনাকে শিক্ষিত হতে হবে এমনটা কিন্তু নয় কাজগুলোর বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলেই আপনি কাজ করতে পারবেন । বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্ররাও ফ্রিলান্সিং পেশায় যুক্ত থেকে পরিবারে বাড়তি আয়ের একটা ব্যবস্থা করতে পারে । যেমন ধরেন ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ডাটাএন্ট্রির কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন । অপরদিকে আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাহলে কাজটি আপনি শিখার আগ পর্যন্ত কাজটি করতে পারবেন না । এটার মানে হলো আপনি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বোঝেন সে বিষয়গুলো আপনার কাছে অনেকটা ক্লিয়ার বলে মনে হবে এবং আপনি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুভব করবেন । ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন , ডাটাবেজ সংরক্ষণ , ওয়েবসাইট তৈরি , টি-শার্ট ডিজাইন , অ্যাপস এবং গেমস তৈরি , ডাটা এন্ট্রি , প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি । উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও ফ্রিলান্সিং পেশায় আপনি আরও অনেক ধরনের কাজ দেখতে পাবেন ‌‌। সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে আর্টিকেল এর প্রথম পর্বে  ঘুরে আসুন । 



ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যাবে কিভাবে ?


অন্য কারো রেফারেন্স এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারা বেশি কাজ পেয়ে থাকেন যা একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে । মনে করেন , আপনার পরিচিত এমন কেউ নেই যিনি আপনাকে রেফার করবে বা বিড করবে , সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে আপনাকে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে । অনেকেই বলে থাকে প্রথম কাজ পাওয়াটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার । কাজটি পেতে আপনার তিন দিন সময় লাগতে পারে আবার একই কাজ পেতে পেতে তিন মাস সময় লেগে যায় । বলা যায় এখানে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় , যারা ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে ফ্রিলান্সিং পেশায় তারাই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে । প্রথম কাজটি পেয়ে গেলে সে কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে ভুলবেন না । প্রথম কাজটি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার উপর খুশি হয়ে কাজ করানোর জন্য দ্বিতীয়বার আপনাকে বেছে নিতে পারেন । ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন কেননা আপনার কাজের উপর নির্ভর করে তারা ফিডব্যাক দেওয়ার ক্ষমতা রাখে । ক্লায়েন্ট যদি আপনার বিরুদ্ধে খারাপ ফিডব্যাক তুলে ধরেন তাহলে কিন্তু আপনার আইডিটা চিরতরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এই ক্লায়েন্টের কাছ থেকেই আপনারা নতুন নতুন কাজ পাবেন , যার জন্য নিদৃষ্ট  সময় কাজ করার পাশাপাশি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে ।



নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেভাবে কাজ শুরু করবেন


ফ্রিলান্সিং পেশায় আগ্রহ থাকার কারণে অনেকেই আউটসোসিং করতে চায় । এদের মধ্যে অনেকের ধারণা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ধারণা না রেখে ভালো পারফরর্মেন্স করা যায় । কিন্তু আপনার যদি ভালো অভিজ্ঞতা থাকে অথচ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকে তাহলে এ পেশায় ডেভেলপ করতে আপনার অনেক সময় লেগে যাবে । তবে কিছু সিদ্ধান্ত রয়েছে যেগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই ভালো করতে পারবেন ।


১ / কাজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ করা


ফ্রিলান্সিং পেশায় কাজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সবার আগে নির্ধারণ করতে হবে কোন বিষয়গুলোর উপর আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং কোন কাজগুলো আপনার দ্বারা সম্ভব বা আপনি করতে চাচ্ছেন । অধিকাংশ মানুষ একটি ভুল করে থাকে আর সেটি হচ্ছে তাদের নিজেদের ভেতর কি অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা সেটি না দেখে অন্যকে অনুসরণ করে । কে কি করছে সেটির উপর লক্ষ্য রাখার কাজটা তারা খুব ভালো নিতে পারে । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হয়ে থাকেন তাহলে ইংরেজি সাবজেক্টেটি আপনার কাছে অনেকটাই সহজ বলে মনে হবে । তাছাড়াও এ বিষয়ে আপনার পারফরম্যান্স সব সময় ভালো হয়ে থাকবে । এর মানে হচ্ছে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো হয়ে থাকেন তাহলে কাজ করার জন্য আপনার এ বিষয় খুঁজে নিতে হবে । মূল কথা হচ্ছে যে বিষয়ে কাজ করার জন্য আপনার আগ্রহ রয়েছে ফ্রিলান্সিং পেশায় সেই বিষয়টি খুঁজে নেওয়ার এবং কাজটি করার সুযোগ রয়েছে ।



২ / ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে


নতুন অবস্থায় আমরা যখন ফ্রিলান্সিং পেশায় জড়িত হব তখন আমাদের মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক । নির্ভুল এবং সঠিকভাবে কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে ধারণা থাকাটা অনাবশ্যক । নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে , সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও আরো অন্যান্য জায়গায় ঘাটাঘাটি করে থাকে । যেখানে প্রতিটা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের হেল্প সেন্টার রয়েছে , যেগুলো ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে থাকে । কিভাবে অনলাইনে সঠিকভাবে কাজ করা যায় , কোন সমস্যা সলিউশন কিভাবে করা যায় হেল্প সেন্টার গুলো এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে । নিজেকে যোগ্য বানিয়ে , মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তারপরে একজন ফ্রিল্যান্সারকে বিড করা উচিত ।



৩ / কাজ করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবেে


সহজভাবে বলতে গেলে আমরা যখন একটি মোবাইল ফোন কিনে তখন কিন্তু মোবাইল ফোনটি কিনার পূর্বে মোবাইলটি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেই । মোবাইলটির পারফরম্যান্স , ব্যাকআপ সবকিছু দেখে তারপরে মোবাইলটি ক্রয় করে থাকি । ঠিক তেমনই একজন ক্লায়েন্ট যখন কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে অভিজ্ঞতা ছাড়াও তারা আরও বিভিন্ন দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে । কথা বলার স্টাইল , বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়া আরো অনেক কিছুই । ক্লায়েন্ট থেকে কাজটি পাওয়ার জন্য কেবলমাত্র ভালো মানের প্রোফাইল এর প্রয়োজন হয় না এর সাথে প্রমাণ দিতে হয় যে কাজটি করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে যোগ্যতা ফ্রিল্যান্সারের কাছে রয়েছে । কাজ পাওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।



৪ / প্রচারণার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে


ফ্রিলান্সিং পেশায় দেশের কোটা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করতে হয় । যেহেতু আপনাকে আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে সেহেতু এখানে নিজের পরিচিতি বিস্তার করা অত্যাবশ্যক । ফ্রিলান্সিং পেশায় নিজের স্থান বজিয়ে রাখার জন্য সর্বপ্রথম একটি ভালো মানের প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন । এছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যক্রমে আপনার নিজস্ব কার্যক্রমগুলো উপস্থাপন করতে পারেন । এক্ষেত্রে আপনার প্রফেশনাল ছবি এবং তথ্যগলোকে শেয়ার করতে হবে । তবে মনে রাখবেন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে যেন আপনার পার্সোনালিটি কোনোভাবেই নষ্ট না হয়ে যায় । কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই যারা প্রফেশনালভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত তাদের থেকে আইডিয়া নিতে পারেন । এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন ।




যেভাবে কাজ শুরু করতে হবে


ক্লায়েন্ট কাজ করার জন্য আপনাকে তখনই বেছে নিবে যখন আপনার প্রোফাইল স্টান্ডার্ড মানের হবে । কাজ করার জন্য আপনি যে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিড করবেন তা যেন অবশ্যই কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে । ফ্রিলান্সিং পেশায় কাজ করার জন্য আপনার প্রোফাইলটিকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে হবে । আপনার প্রোফাইল দেখে যেন ক্লায়েন্টের মনে হয় এই ব্যক্তির ভেতরে অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা রয়েছে । সুতরাং একটি ভালো প্রোফাইল বানানোর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে সে বিষয়ে কিছু নির্দেশনা তুলে ধরা হলো ।


১ / প্রয়োজন হলে গুগল অথবা ইউটিউব এর সাহায্যে যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞতা লাভ করুন । এছাড়াও আমাদের দেশে রয়েছে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার যেখানে মাসিক বেতন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো শিখানো হয় ।  যেখান থেকে বেসিক ধারণা গুলো জানা যায় । কেবলমাত্র ট্রেনিং সেন্টার নয় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে নিজে থেকেই এগিয়ে যেতে হবে ।

২ / আপনার দক্ষতাকে সর্বদাই বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করুন । ফ্রিল্যান্সিং পেশা যে কাজগুলো সম্পর্কে আপনার আইডিয়া রয়েছে সে কাজগুলো সম্পন্ন করে আপনার প্রোফাইলে এড করতে পারেন । এতে করে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে কোন কোন বিষয়গুলোর উপর আপনার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা রয়েছে এবং ক্লায়েন্ট যে কাজটি করাতে চায় সে বিষয়ে আপনার ধারণা আছে কিনা । যে কাজগুলো সম্পর্কে আপনার দক্ষতা রয়েছে সে কাজগুলো কমপ্লিট করে তার একটি নমুনা আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করে রাখুন ।


৩ / ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা পরিমাপ করা যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো freelancer.com , odex.com । একটি কথা মাথায় রাখবেন এসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে যার পরীক্ষা যত বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু ঠিক ততটাই বেশি ।


৪ / নিজের কাজগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন , সামাজিক যোগাযোগ সাইট , ব্লগিং সাইট , ইত্যাদি জায়গায় তথ্য শেয়ার করা । এতে করে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । 



প্রয়োজনীয় সকল ফেসবুক গ্রুপ অথবা সাইট


যারা প্রফেশনালভাবে ফ্রিলান্সিং পেশায় জড়িত ফেসবুকে তাদের নিজস্ব কিছু গ্রুপ রয়েছে । গ্রুপ গুলোতে পারদর্শীরা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে । কোন বিষয়ে যদি আপনার ঝামেলা থেকে যায় তাহলে এখান থেকে সলিউশন এর ব্যবস্থা রয়েছে । যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন এখানে । প্রয়োজনীয় গ্রুপগুলোর তালিকা নিম্নে তুলে ধরা হলো ।


1 / oDesk Help

2 / Qiqzforum

3 / oDesk Bangladesh

4 / Payoneer Bangladesh

5 / Bangladesh YouTube Marketers

6 / Amazon Affiliate Bangladesh

7 / Envato Bangladesh

8 / Android Developers Bangladesh

9 / BDseo

10 / MoneyBee

11 / Affiliate Marketers Bangladesh

12 / Wordpressians

13 / Teespring BD 

14 / Bangladesh Internet Marketing Professional association 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads