আজকে আপনাদের এরকমই একটি কাহিনী বা গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যেটির পড়লে আপনারা হয়তোবা অনেকখানি বাস্তবতা কি সেটা বুঝতে পারবেন । ( মোটিভেশনাল স্টোরি )
আবেগে প্রেমিক প্রেমিকার জন্য সবকিছু দিয়ে দেয় বাস্তবে দিতে গেলে অনেক সময় কষ্ট হয়ে যায় এ বিষয়টি হয়তোবা আমরা অনেকেই এখন বুঝতে পারি এটি কিন্তু এখন শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয় রক্তের সম্পর্ক কিন্তু এখন বুঝতে না পারলে কঠিন কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় । (Student for motivational)
তো বন্ধুরা চলো আমরা আজকের গল্পটি জেনে নেই এই গল্পটি আমাদেরকে কোন দিকে নিয়ে যায় বা কোন দিকে শিক্ষা দেয় আজকে আমরা জানার চেষ্টা করি । (Jiboner golpo)
মোটামুটি মানের একটি কোম্পানি ছিল সেই কোম্পানিতে কাজ করত অনেকে তার মাঝে একজন ম্যানেজার আসছিলো । ওই কোম্পানির অফিসে যিনি বস রয়েছেন তিনি ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে অনেক রাগারাগি করেন অফিসের ম্যানেজারের সাথে বসের সেই উথালপাতাল কথা শুনে ম্যানেজারও অনেক রেগে যায় কিন্তু রাখলে কি হবে ম্যানেজার তো চাইলেও বসকে আর কিছু বলতেও পারে না বা কত পারবে না ।
তখন ম্যানেজার বসের রুম থেকে বেরিয়ে যায় অনেক রাগ মনের ভিতর নিয়ে এরপর যখন ম্যানেজার এর আন্ডার এ যারা কাজ করেন তাদের মাঝে একজন কে ছোট্ট একটা ব্যাপার নিয়ে অনেক রাগারাগি করেন অর্থাৎ বসের দেওয়া যে রাগটি ছিল ম্যানেজারের মাথায় সেটা সে তার নিচে যে কাজ করে সেই কর্মচারীর উপরে সম্পন্ন রাগ জেরে ফেলেন ম্যানেজার ।
এখন কথা হচ্ছে কর্মচারী আর রাগ কাকে দেখাবে তার নিচে কাজ করে এরকম তো আর কেউ নেই সে কিছু বলতে পারবে না কারণ বলতে গেলে তার চাকরি চলে যাবে । সেই রাগে ওখান থেকে বের হয়ে যায় বের হয়ে গেটে দারোয়ান ছিল তাকে অনেক বকাবাজি করে অর্থাৎ ম্যানেজারের দেওয়া সম্পন্ন রাগ দারোয়ানের উপর জেরে বাসায় চলে যায় ।
এখন কথা হচ্ছে অসহায় দারোয়ান আর কি করবে কারণ দারোয়ানের উপরে তো সবাই চাকরি করে সবাই তার উপরেই লেভেলে রয়েছে তার নিচের লেভেলে তো আসলে কেউ নেই এখন দারোয়ান মনে মনে ভাবে যে তার রাগ কিভাবে দেখানো যায় । ভাবতে ভাবতেই দারোয়ান একটি সময় বাসায় চলে যায় মাথার ভিতরে তো অনেক রাগ রয়ে গেছে সে ছোট্ট একটা কারনেই বউর সাথে সেই রাগটি মিটায় অর্থাৎ বউকে সে অনেক রাগারাগি করে ।
দারোয়ানের বউ চিন্তা করে তার রাগটি কার উপরে ছাড়বে খুঁজে পাচ্ছিল না অনেকটা সময় ব্যয় করছে তাও পারছিল না কারন জামাইকে তো আর কিছু বলতে পারে না, অনেকক্ষণ সময় দেওয়ার পরে হঠাৎ করে তার রাগ গিয়ে পড়ে তার সন্তানের উপর অর্থাৎ বিনা ছোট কারণেই সন্তানকে মারধোর করে । আর বলে সারাদিন শুধু খেলাধুলা করো পড়াশুনা করস না ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করো না এই বলে সন্তানের উপরে তার রাগ জেদ মিটিয়ে ফেলে ।
এখন কথা হচ্ছে সন্তানতো আর মাকে কিছু বলতে পারেনা এখন সন্তানের রাগ কার উপরে ঝাড়বে কোন দিক দিশা না পেয়ে রাস্তার দিকে ছুটে যায় ছোটাছুটি করার এক পর্যায়ে সে একটি পাথরকে দূরে সুরে মারে গিয়ে লাগে রাস্তার একটি কুকুরের গায়ে ।
কুকুরটি যেহেতু ওই শিশু ছেলে সন্তানের সাথে পারে না সেহেতু সে কষ্ট নিয়ে মাথায় আঘাত নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে একপর্যায়ে তার সামনে একজন মানুষকে দেখতে পায় তাকে ওই কুকুরটি কামড়ে দেয় ।
এখন আপনারা অনেকে ভাবতে পারেন যাকে কুকুরটি কামড়ালো সেই মানুষটি কে ছিল ? অনেকে হয়তো বা ধারণা করতে পারছে আবার অনেকে বুঝতেই পারেননি বন্ধুরা আপনাদের বোঝার জন্য বিষয়টি কিলিয়ার করে দিচ্ছি কুকুরটি ওই লোকটি কে কামড়ে ছিল যে লোকটি ওই যে আগে যে অফিসের বসটি ছিল যিনি কিনা ছোট একটি কারণে ম্যানেজারকে অনেক বকাবকি করছিল সেই বসকে ওই কুকুরটি কামড়ে দেয় ।
সেই অফিসের বসটি অনেক চিন্তা ভাবনা করেন এই কুকুরটিকে তো তিনি কোন কিছু করেন নি তারপরও বিনা কারণে কেন ওই কুকুরটি তাকে কামড়ে দিলো ? এটা ভেবে আসলে সে অনেক সময় ব্যয় করে ফেলে কিন্তু অফিসের সেই বসটি মূল কারণটি ভেবে পায়না ।
একবার ভাবুন আমরা জেনে হোক বুঝে হোক কিংবা রাগের বশে হোক অন্য মানুষকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অনেক কষ্ট বা আঘাত করে থাকি একবার ভেবে দেখি না এটার ফলাফল আসলে কি হতে পারে ? ।
দেখুন ঐদিন যদি অফিসের বস ছোট একটা কারণ দেখিয়ে যদি ম্যানেজারের উপরে রাগ না দেখা তো বিষয়টাকে যদি সে ভালোভাবে সমাধান কত তাহলে কিন্তু পরের ঘটনাগুলো ঘটতো না এবং ঘুরেফিরে কিন্তু পরের আঘাতটি তার উপরেই কখোনই পড়তো না ।
এইজন্যই বলে আপনি আজ যেটা করবেন কাল আপনার উপর সেটাই হবে যদি আপনি ভালো কিছু করেন ভালো কাজ করেন তার ফল ভালই পাবেন আর যদি সেটা না করেন তাহলে কিন্তু খারাপ ফলটা রয়েছে ।
যদি গায়ের জোর থাকে আর যদি টাকা থাকে পকেটে তাহলে অনেক সময় আমরা কমজোরি মানুষদেরকে অনেক আঘাত করে থাকি কিন্তু একবারও ভাবার চেষ্টা করি না সবকিছুই কিন্তু আল্লাহ পাক দেখতেছেন ।
যাকে আজকে যে কারণে আঘাত দিচ্ছেন বিনা কারণে ঘুরেফিরে হয়তোবা কোন একদিন অন্য কেউ আঘাত দেবে আপনাকে বিনা কারণে এমনটাই কিন্তু আসলে বাস্তবতায় হয়ে থাকে ।
কখনো কাউকে মনে আঘাত দিতে নেই কারণ আজকে যদি আপনি আমি অন্য কাউকে আঘাত দিই কালকে কিন্তু আল্লাহ পাক যেকোনো সময় বিনা কারণে আমাদের আঘাত দিতে পারেন তখন হয়তোবা ভাববো বিনা কারণে কেন আল্লাহ পাক আমাদের কষ্ট দিল ? । এটা হয়তো বা আমরা মনে মনে ভাবতে পারি আসলে তো আল্লাহপাক ঠিক কাজটি করেছেন ।
আমাদের ভুল করার আগে বারবার ভেবে নেওয়া উচিত কর্মের ফল আমাদের কিন্তু ভোগ করতেই হবে যদি আল্লাহ পাক মাপ না করেন দুনিয়াতে হোক কিংবা পরকালে হোক । এই জন্য যতটুকু পারি আমরা মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার এবং উপকার করবো তবে নিজেকে ক্ষতি করে নয় নিজের উপকার সবার আগে করতে হবে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন