Ads

 দুনিয়ায় চলার পথে কখন যে কে কোন বিপদে পড়ে এটা একমাত্র আল্লাহ পাকই ভালো বলতে পারবেন । মানুষ কিছু কিছু সময় অনেক বেশি বিপদে পড়ে থাকেন তখন তার দরকার হয়ে থাকে টাকার তখন সে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ভালো-মন্দ চিন্তা করে না । ছোটেন টাকা সংগ্রহের পিছনে কিন্তু এর জন্য ঘটে যেতে পারে নানা ধরনের বিপদ এটা হয়তো অনেকেই জানেন না ।

এখন অনলাইনে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যারা কিনা ঋণ দিয়ে থাকে যে কারো কিন্তু তাদের সুদের হার এত বেশী যে সেটা ভাবতেও পারবেন না । তারপরে আবার একদিন যদি টাকা দিতে মিস হয় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে যদি সময়মতো গাহক টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে প্রতিদিন আবার 120 টাকা করে সুদ দিতে হয় । এদের কি কোন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুমোদন রয়েছে যদি সেটা না থাকে তাহলে তারা কিভাবে সরকারের নাকের ডগা দিয়ে এরকমভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জানার চেষ্টা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে । 

আজকে একটি অনলাইন পত্রিকা তে নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে টেলি কনজ্যুমার অফ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে 5 দফা দাবি সরকারের কাছে জানানো হয়েছে যাতে করে এই ধরনের প্রতারক মূলক ব্যবসা যাতে সরকার বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয় ।


অনলাইন থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া কি সরকারের অনুমোদন রয়েছে ?



সময়মত অ্যাপ থেকে ঋণ পাওয়া যায় বিষয়টা তো ভালই


এই ধরনের অবৈধ অ্যাপ্লিকেশনগুলো যখন সাধারন মানুষকে ঋণ দেয় তার আগেই তারা ভেরিফিকেশন করে নেয় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সবকিছু তারা সংগ্রহ করে একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই গুলা থেকে বিপদ হতে পারে আপনার ? রেপিড ক্যাশ, ক্যাশ ক্যাশ, ক্যাশ বাবা, ক্যাশম্যান এরকম বেশ কিছু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যারা কিনা জনগণকে শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে । 


ঋণ দেওয়া এপ্লিকেশনগুলোকে কি সরকার অনুমোদন দিয়েছে ?

 

এতদিন সাধারণ মানুষের অনেকের মাঝে এরকম ভুল ধারণা ছিল যে এই অ্যাপ গুলো হয়তো বা সরকারের পারমিশন নিয়েই পরিচালনা করা হচ্ছে । কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন এই ধরনের বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশনগুলি সরকারের কোন পারমিশন সারাই পরিচালনা করা হচ্ছে । এখন সকলের প্রশ্ন হবে তাহলে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রকাশে কিভাবে এরকম ভাবে সার্ভিস চালিয়ে যাচ্ছে সরকার কিতা দেখেনা । এই প্রশ্নটা হয়তবা অনেকের মাঝেই এখন মনে হচ্ছে এখন যেহেতু বিষয়টা সরকারের নজরে এসেছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে আশা করা যাচ্ছে সরকার একটা ব্যবস্থা নেবে ।


তাহলে আমরা সরকার অনুমোদিত ঋণ দেওয়া অ্যাপ্লিকেশন কিভাবে পাব ?


ঋণ দেওয়া অনলাইনের মাধ্যমে যাতে সহজ করা যায় এ বিষয়ে শুনছিলাম যে কিছু কোম্পানিকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে যে রকম শুনছিলাম ব্র্যাক ব্যাংকের একটি শপআপ নামে অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার মাধ্যমে ঋণ নেওয়া যায় যদিও সার্ভিসটি এখন বন্ধ আছে আমার জানা মতে । আমার জানামতে । এছাড়ো মাঝখানে দেখছিলাম বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের সাথে চুক্তি করে জনগণকে লোন দেওয়ার সিস্টেম চালু করেছিল যদিও সেটাও এখন বন্ধ রয়েছে । অনলাইন ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখা উচিত যে অ্যাপ্লিকেশন থেকে আমরা ঋন নিচ্ছি সেটি আদৌ সরকার অনুমোদিত কিনা বা কোন বড় প্রতিষ্ঠানের কিনা । কারণ যদি কোনো বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এরকম নিয়ম চালু করা হয় তাহলে অনেকটা ভেবে নেওয়া যায় যে এটা সরকারের অনুমোদন রয়েছে কারণ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কখনও সরকার অনুমোদন ছাড়া চলতে পারে না । তারপরও বিষয়টা পূর্ণাঙ্গ সিওর হয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।


অনলাইন এই ঋণ দেওয়ার অ্যাপ্লিকেশনগুলো কত পার্সেন্ট পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে ?


এই গুলার সুধ নেওয়ার আসলে কোন সাইজ নেই কারণ তারা সার্ভিস অ্যাপ্লিকেশন এই সেই নাম করে 1000 টাকায় সব মিলে 165 টাকা পর্যন্ত এক সপ্তার জন্য তারা চার্জ করে থাকে এবং সময়মত যদি ঋণের টাকা এক সপ্তার ভিতর পরিশোধ করা না হয় তাহলে প্রতিদিন 120 টাকা করে বাড়তি আরো সুদ নিয়ে থাকে । তাহলে এবার বুঝুন চক্রবর্তীর সুদ কেও তারা হার মানিয়ে ফেলেছে । এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে থাকে বা দিয়ে থাকে । এই ধরনের লেনদেন গুলো সাধারণত বিকাশ নগদ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে তবে যেহেতু এই ধরনের কোম্পানিগুলোর কোন লাইসেন্স নেই তাহলে ভাবুন আপনি যদি মাস্টার কার্ড ডেবিট কার্ড দিয়ে যদি এখানে ঋণ পরিশোধ করেন তাহলে আপনাদের ইনফরমেশনগুলো কিন্তু তাদের কাছে চলে যাচ্ছে ।


এই ঋণকি তারা চুপি চুপি দিয়ে থাকে ?


কখোনই না তারা তো এই কাজগুলো হরহামেশা প্রকাশেই চালিয়ে যাচ্ছে এই ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ যারা দিচ্ছেন তারা ইউটিউব এ ফেসবুকে কিংবা অন্যান্য মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে অনায়াসে । তবে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে যে এড্রেস দেওয়া থাকে অফিসের সেগুলো ভুয়া হয়ে থাকে ।


সরকার যদি এই ধরনের কিছু আপকে লাইসেন্স দেয় তাহলে তো সাধারন মানুষের জন্য ভাল হত 


যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ দেওয়া-নেওয়া এবং সুদে যারা সাক্ষী থাকে সকলের একই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে । এই তিনজনের সমান অপরাধ বিবেচিত হয়ে থাকে । তবে কিছু কিছু সময় মানুষ হয়তোবা অনেক বিপদে পড়ে যান সেই সময়ের হিসাব টা কি হবে সেটা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ভাল জানেন । সুদ থেকে বিরত থাকাটাই হলো উত্তম কাজ তারপরও যদি সুদ নিতে হয় প্রয়োজনে তাহলে বলব অবশ্যই আল্লাহ ও রাসূলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সঠিক কোম্পানি থেকে নেওয়াটাই হবে উত্তম ও বুদ্ধিমানের কাজ । এই ধরনের অনলাইন ঋণ দেওয়ার অ্যাপ্লিকেশন কে সরকার ফুল ভাবে অনুমোদন দিবে কিনা এটা সরকার ভালো বলতে পারবে ।


অনলাইন ঋণ বন্ধের জন্য 5 দফা দাবি সম্পর্কে জানতে চাই ?


পাঁচ দফা দাবির ভিতরে প্রথমত রয়েছে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোর প্রচার প্রচারণা বন্ধ করতে হবে । উচ্চ হারে গ্রাহকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা তারা সুদ হিসেবে নিয়েছে সেগুলো ফেরত দিতে হবে । মানুষের কাছ থেকে যে ডকুমেন্টগুলো তারা সংগ্রহ করেছে সেগুলো দিয়ে যাতে কাস্টমারদের কে কোন রকমের সমস্যা করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে । এবং গুরুত্ব সহকারে যে জিনিসটা কে প্রকাশ করা হয়েছে সেটি হলো এই ধরনের প্রতারক চক্র গুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads