Ads

 বর্তমান যুগে একটু একটু করে যেন প্রতিদিনই অনলাইন শপিং এর দিকে মানুষ বেশি ঝুঁকছে অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেন অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়ে যাচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রায় । একজন মানুষ যখন এই করোনাকালে কেনাকাটার প্রয়োজন পড়ে করুণা বা লকডাউন এর জন্য কিন্তু সে প্রয়োজনমতো কিনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে যেতে পারেনা । স্মার্টফোন ল্যাপটপ কম্পিউটারের দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই যেকোনো পণ্য অর্ডার দিতে পারেন নিজের পছন্দমত এই কারণে অনলাইন শপিং এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে । অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা প্রায় সকলের কাছেই বলা চলে এখন কথা হচ্ছে মানুষ কি দাম দিয়ে সঠিক সময়ে গুণগত মানের পণ্য টা কি পান  ।

মানুষের এই চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা কিনা অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে সরল মানুষগুলোকে নিয়ে প্রতারণা মূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন । আবার কোন কোন ই-কমার্স কোম্পানি পেমেন্ট নিচ্ছেন ঠিকই কাস্টমারদের থেকে কিন্তু কাস্টমারকে সময়মতো পণ্য দিচ্ছেন না ।

গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সময় মত পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগ প্রায় দেশের সব কয়টা ইকমার্স সাইটের বিরুদ্ধে রয়েছে তবে সব চাইতে এগিয়ে রয়েছে এই অভিযোগের ক্ষেত্রে ইভ্যালি 

মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থাৎ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এখন থেকে গ্রাহকের কাছে আগে প্রোডাক্ট পৌঁছাবে তারপরে কোম্পানিগুলো টাকা পাবে এই নিয়মটা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার । আসলে কি এটি মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে ।


সরকারের নতুন উদ্যোগ আগে পণ্য পরে টাকা


ই-কমার্স কোম্পানিগুলো কেন কাস্টমারদের কে ঠকায় ?


এটা বলে রাখা ভাল সব ইকমার্স কোম্পানিগুলো কিন্তু কখনোই কাস্টমারদের কে ঠকায় না । তবে বাংলাদেশের পেক্ষাপটে বাংলাদেশি বেশিরভাগ ই-কমার্স সাইটগুলো কাস্টমারকে ঠকিয়ে থাকে বিভিন্ন সুতা দিয়ে । এর ভিতর কাস্টমারদের সবচাইতে বেশি অভিযোগ রয়েছে যেটার ভিতর সেটা হলো সঠিক সময়ে কাস্টমাররা টাকা পরিশোধ করার পরেও ই-কমার্স সাইটগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয় না অর্থাৎ অনেক লেট করে । কিছু কিছু ই-কমার্স সাইট তো কাস্টমার থেকে টাকা নেওয়ার পরে আর পণ্যই দেয় না । আবার দেখা যায় অনেক সময় যারা প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটগুলো রয়েছে তারা কাস্টমারদের থেকে অনেক সময় উচ্চমানের টাকা নেওয়ার পরেও নিম্নমানের প্রডাক দিয়ে থাকে । আবার অনেক সময় দেখা যায় কাস্টমার থেকে টাকা নিয়ে মাসের পর মাস চলে যাওয়ার পরেও কাস্টমার প্রডাক্ট সময়মতো পায় না । আর যদিও পায়ো অনেক সময় লেগে যায় । মাঝখানে যে সময়টা ওই সময় কোম্পানিগুলো কাস্টমারদের টাকা নিয়ে ভিন্ন ব্যবসা করে টাকা ঠিকই কামিয়ে নেয় । কিন্তু সাধারণ মানুষ এতে করে কোন বাড়তি সুবিধা পায় না ।

ই-কমার্স সাইটগুলো নাকি লোভনীয় অফার দিয়ে কাস্টমারদের কে ঠকায় ?


এই বিষয়টা অনেক পত্র-পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনে এই বিষয়টা নিয়ে বহুবার নিউজ করা হয়েছে । অর্থাৎ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রলভন দেখিয়ে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় যেমন লটারি কথা বলে ডিসকাউন্ট কথা বলে ক্যাশব্যাক এর কথা বলে নানা রকম ভাবে তারা প্রতারিত করে থাকে কাস্টমারদের কে । এই ধরনের প্রতারক কোম্পানিগুলো থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা ।


ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম চালু করলে তো ভালো হতো


ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম টা অনেক কোম্পানি ফলো করে থাকে তবে বেশির ভাগ ই-কমার্স কোম্পানিগুলোই এটাকে এড়িয়ে চলেন । ক্যাশ অন ডেলিভারি পক্ষে কিন্তু সবসময় বাংলাদেশ সরকার মদ দিয়ে থাকেন । জনগণও কিন্তু এর পক্ষে রয়েছেন কিন্তু কে শোনে কার কথা কোম্পানিগুলো তো এটা মানতে নারাজ কারণ তারা চায় টাকা আগে পণ্য পরে ।


কিভাবে সঠিক সময় কাস্টমার পণ্য পেতে পারে ?


এটি একটি সুন্দর প্রশ্ন আসলে বাংলাদেশ সরকারও চায় কাস্টমাররা সঠিক সময়ে জাতে গুণগত মানের পণ্য পায় সেই জন্যই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।


সরকারের নতুন উদ্যোগ আগে পণ্য পরে টাকা এতে কি জনগণের লাভ হবে ?


বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার এই বিষয়টা নিয়ে বিবেচনা করতে ছিলেন অনেক পত্রপত্রিকায় কিংবা টেলিভিশনে বিষয়টা নিয়ে অনেক খবরা খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ই-কমার্স নিয়ে বাংলাদেশে একটি নীতিমালা তৈরি হোক । তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হতে যাচ্ছে অর্থাৎ এখন থেকে যেকোন ই-কমার্স সাইট থেকে কাস্টমার যখন পণ্যঃ কিনবে তখন তাদের পেমেন্টটা পেন্ডিং অবস্থায় থেকে যাবে অর্থাৎ কোম্পানির কাছে না গিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের আন্ডারে চলে যাবে যখন মানুষ পণ্যটি হাতে পাবে সে যখন পেমেন্ট কনফার্ম করবে তখনই কেবল ই-কমার্স কোম্পানি টাকাটা পাবে । এটা করার কারণে এখন থেকে কাস্টমারদের কে আর ঠকাতে পারবে না অর্থাৎ কাস্টমাররা সঠিক সময়ে পণ্য পাওয়া সম্ভাবনা তৈরি হবে কারণ কোম্পানি যদি সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি না দেয় তাহলে তাদের টাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারা আটকে থাকবে । আর আটকে যদি থাকে তাহলে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর কোন লাভ নেই এজন্য তারা যত তাড়াতাড়ি পারেন কাস্টমারদের প্রোডাক্ট ঠিকানা অনুযায়ী পাঠিয়ে দিলেই বরঞ্চ তাদের লাভ কারণ তারা যত তাড়াতাড়ি কাস্টমারকে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেবে ততো তাড়াতাড়ি তারা পেমেন্টটা পেয়ে যাবে ।

আপনি কি মনে করেন এই নতুন পদক্ষেপ গুলো নিলে জনগণ উপকৃত হবে ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads